রপ্তানিতে আবারও বড় সাফল্য

করোনা মহামারির প্রভাবে কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়া এবং পণ্য পরিবহন খরচ দ্বিগুণ হওয়ার পরও দেশের রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। গত ডিসেম্বর মাসে রপ্তানিতে রেকর্ড প্রবৃদ্ধির পর জানুয়ারিতেও ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় হয়েছে। গতকাল বুধবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এমন তথ্য উঠে এসেছে।  

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের একক মাস গত জানুয়ারিতে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৮৫ কোটি ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪১.১৩ শতাংশ বেশি।

একক মাসের হিসাবে দেশের ইতিহাসে এই আয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আগের মাস ডিসেম্বরে একটু বেশি, ৪৯০ কোটি ৭৭ লাখ ডলার আয় হয়েছিল।

এ প্রসঙ্গে তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, রেকর্ড প্রবৃদ্ধি আবারও প্রমাণ করেছে যে দেশের পোশাক খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেড়েছে। এ ছাড়া দর-কষাকষিতেও সক্ষমতা বেড়েছে। তাঁরা বলেন, একসময় কার্যাদেশ কম থাকায় লোকসান দিয়েও কাজ করেছেন তাঁরা। এখন ক্রেতারা পোশাকের দর বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়লেও সামনে এখনো অনেক চ্যালেঞ্জ। এ জন্য এখনই উদ্যোগ নিতে হবে সরকার ও উদ্যোক্তাদের। জোর দিতে হবে কৃত্রিম তন্তুর পোশাক (এমএমএফ) তৈরি সক্ষমতা বাড়ানোর, পরিবেশবান্ধব উপায়ে পোশাক (সাকুলারিটি) এবং পণ্য বহুমুখীকরণে। এ ছাড়া কান্ট্রি ব্র্যান্ডিং হবে দেশের টেকসই রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস। এ বিষয়ে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পর্যাপ্ত কার্যাদেশ ও কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়া এবং করোনা মহামারির মধ্যে দেশের রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। প্রধানত প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় সময়মতো পণ্য জাহাজীকরণ, উচ্চ মূল্যের পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি এবং পোশাক খাতের বৈশ্বিক ক্রেতাদের আস্থা বেড়েছে। ’

অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘রপ্তানি আয়ে ধারাবাহিক ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি পোশাক খাতের সক্ষমতা বেড়েছে, এটা প্রমাণিত। একই সঙ্গে বাড়ছে উচ্চ মূল্যে পোশাক রপ্তানি। ফলে এই খাতের এখনো বিপুল সম্ভাবনা আছে। তবে চ্যালেঞ্জও কম নয়। এ জন্য কৃত্রিম তন্তুর পোশাক (এমএমএফ) তৈরি, সার্কুলারিটি এবং পণ্য বহুমুখীকরণে আরো জোর দিতে হবে। ’ তিনি বলেন, ‘এমএমএফ সংযোগ শিল্পের ২০ থেকে ২৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। ’

ইপিবির পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সামগ্রিকভাবে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে দুই হাজার ৯৫৪ কোটি ৮৯ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা দেশি মুদ্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকার বেশি। এ আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩০.৩৪ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে তা আলোচ্য সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ১৬ শতাংশ বেশি।
এই বিভাগের আরও খবর
ঈদের আগে দুই দফা বাড়তে পারে সয়াবিন তেলের দাম

ঈদের আগে দুই দফা বাড়তে পারে সয়াবিন তেলের দাম

জনকণ্ঠ
৫০%-এর বেশি আমদানি হচ্ছে আফ্রিকা থেকে

৫০%-এর বেশি আমদানি হচ্ছে আফ্রিকা থেকে

বণিক বার্তা
পেঁয়াজ রফতানিতে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা ভারতের

পেঁয়াজ রফতানিতে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা ভারতের

বাংলা ট্রিবিউন
এক্সিমের সঙ্গে একীভূত হলো পদ্মা ব্যাংক

এক্সিমের সঙ্গে একীভূত হলো পদ্মা ব্যাংক

যুগান্তর
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে উৎসে কর অর্ধেক

চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে উৎসে কর অর্ধেক

প্রথমআলো
সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান - ইউরোপ আমেরিকা এশিয়ার ৫৫ কোম্পানিকে আমন্ত্রণ পেট্রোবাংলার

সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান - ইউরোপ আমেরিকা এশিয়ার ৫৫ কোম্পানিকে আমন্ত্রণ পেট্রোবাংলার

বণিক বার্তা
ট্রেন্ডিং
  • ভালোবাসা দিবসে পরী মনির ‘বুকিং’

  • নির্বাচনের আগে পাকিস্তানে জোড়া বিস্ফোরণে নিহত ২৮

  • ভিসা পদ্ধতি পুরোপুরি তুলে নিলো যে দেশ

  • শন্তিপূর্ণভাবে মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা করেছি: প্রধানমন্ত্রী

  • ২০৩৫ সালের মধ্যে চীনের পারমাণবিক অস্ত্র বাড়বে তিন গুণ

  • তানজানিয়ায় প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৯

  • ব্যাংকে ৫ কোটি টাকার বেশি থাকলে বেশি কর

  • কাতার বিশ্বকাপে ফিরছে জিদানের সেই ভাস্কর্য

  • ইন্দোনেশিয়ার নিষেধাজ্ঞায় তেলের মূল্য আকাশছোঁয়া

  • অবিশ্বাস্য কীর্তিতে হাজার রানের ক্লাবে এনামুল বিজয়