নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় দেশে কঠোর লকডাউন চলছে। দিন যত পার হচ্ছে, বিধিনিষেধের কঠোরতায় দেখা দিয়েছে শিথিলতা। গতকাল সপ্তম দিনে রাজধানীতে বেড়েছে রিকশা ও যাত্রীবাহী মোটরসাইকেল চলাচল। পান্থপথ, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ ও কাকরাইল এলাকায় এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে।
গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আগের দিনগুলোর তুলনায় ব্যক্তিগত পরিবহন চলাচল বেড়েছে। তবে রিকশা ও যাত্রীবাহী মোটরসাইকেল বেড়েছে ব্যাপকভাবে। যদিও চেকপোস্টে মোটরসাইকেলে দুজন দেখলেই গতিরোধ করা হচ্ছে, করা হচ্ছে বিভিন্ন অংকে জরিমানা।
মোটরসাইকেলচালক জীবন সরওয়ার বলেন, পেটের তাগিদে বাধ্য হয়েই চালাতে হচ্ছে। এখন অ্যাপ বন্ধ, তাই চুক্তিভিত্তিক চালাই। পুলিশের ঝামেলা থাকায় ভাড়া একটু বেশি নিচ্ছি। তিনি দাবি করেন, করোনায় মোটরসাইকেলই নিরাপদ বাহন। প্রয়োজনীয় গন্তব্যে নিরাপদে ও দ্রুত পৌঁছা যায়, তাই মোটরসাইকেল চলাচলের সুযোগ দেয়া উচিত।
গণপরিবহন না থাকায় বিকল্প হিসেবে রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা ব্যবহার করছে প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষ। এ সুযোগে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাড়তি ভাড়া রাখা হচ্ছে। সে তুলনায় রিকশায় স্বাভাবিক ভাড়ায় যাওয়া যাচ্ছে। ফলে রাজধানীর এসব এলাকায় রিকশা চলাচল চোখে পড়ার মতো।
এদিকে রাজধানীর চেকপোস্টগুলোতে আগের মতো তত্পরতা দেখা যায়নি। ব্যক্তিগত পরিবহন কিছুটা চেক করা হচ্ছে। অধিকাংশই মোটরসাইকেল আরোহীর মুভমেন্ট পাস বা চলাচলের কারণ জানতে চাওয়া হচ্ছে।
চেকপোস্ট ছাড়া অন্য সড়কগুলোতে যে যার মতো চলাফেরা করছে। আবাসিক এলাকাগুলোতে লকডাউনের কোনো কড়াকড়ি নেই বললেই চলে। যদিও গতকাল সন্ধ্যা থেকে রাজধানীর বেশকিছু এলাকায় পুলিশের কড়াকড়ি দেখা গেছে। তবে পুলিশ চলে যাওয়ামাত্র আগের মতো চলাফেরায় স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে।
এদিকে রাজধানীর ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে অন্যদিনের তুলনায় সকাল থেকেই এসব সড়কে যান চলাচল বেড়েছে। এছাড়া রাজধানীর পোস্তগোলা, জুরাইন, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর, সূত্রাপুরের বিভিন্ন সড়কে অফিসগামী লোকের ভিড় দেখা গেছে। ব্যক্তিগত গাড়ি, অটোরিকশা ও রিকশায় চড়ে মানুষ অফিসে এবং জরুরি কাজে যাচ্ছেন। রাজধানীর এ অংশে পুলিশের তত্পরতা খুব একটা চোখে পড়েনি।
চলাচলরত মানুষকে খুব একটা তল্লাশিও করছে না পুলিশ। তবে রাজধানী সুপার মার্কেটের সামনে বেশকিছু রিকশা ও ভ্যান উল্টে রাখতে দেখা গেছে। দায়িত্বরত পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ দুদিন মানুষ যাতায়াতের জন্য কাভার্ড ভ্যানের পাশাপাশি পণ্যবাহী ভ্যানও ব্যবহার করছে। তবে চোখে পড়ামাত্রই পুলিশ সেগুলো আটকে দিচ্ছে এবং জরিমানাও করা হচ্ছে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়