স্কুলের খাতায় মাঈনুদ্দিনের নাম মঈন ইসলাম। রামপুরার একরামুন্নেছা স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাণিজ্য শাখা থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে সে। পড়াশোনা শেষ করে হতে চেয়েছিল প্রশাসনের বড় কর্মকর্তা।
সোমবার রাতে মাঈনুদ্দিনের বাড়িতে তার বড় ভাইয়ের শ্যালক বাদশা মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, মাঈনুদ্দিনের বাবা চায়ের দোকান চালান বাড়ির পাশে তিতাস রোড়েই। রাত ৯টা পর্যন্ত বাবার চায়ের দোকানেই কাজে ব্যস্ত ছিল সে। এরপর দোকান থেকে বেরিয়ে বন্ধুর বাড়িতে রামপুরা বাজার এলাকায় যায়। ফেরার পথে রাস্তা পারাপারের সময় নিহত হয়।
এরপর পথচারীরা মাঈনদ্দিনের ফোন থেকে পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে জানায়। প্রথমে মঈনুদ্দিনের দুলাভাই ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিন্নভিন্ন মরদেহ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে জ্ঞান হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর পরিবারের অন্যান্য লোকজন সেখানে পৌঁছায়।
দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে মাঈনুদ্দিন সবার ছোট। বড় ভাই মনির ছোট একটি চাকরি করেন। মূলত সংসার চলে বাবার টিনের ছোট্ট চায়ের দোকানের আয় থেকেই। বড় ভাই ভালো কিছু না করার কারণে এ সংসারের হাল ধরতে চেয়েছিল সে।
তাদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। প্রায় ১৫ বছর রামপুরা এলাকায় বসবাস করছে তার পরিবার। স্কুল জীবন ও বাবার চায়ের দোকানে সহযোগিতা করার কারণে ওই এলাকায় বেশ পরিচিত ছিল মাঈনুদ্দিন। ছিল মেধাবী ছাত্রও।
এদিকে মাঈনুদ্দিন নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে রামপুরা বাজার এলাকায় বেশ কয়েকটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। মধ্যরাত পর্যন্ত এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করে দোষীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। এ ঘটনায় ঘাতক বাসের চালককে আটক করা হয়েছে বলে তাৎক্ষণিক জানায় পুলিশ।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়