রাস্তায় বাগবিতণ্ডায় জড়ানো ডাক্তারকে আদালতে আসতে হবে ॥ হাইকোর্ট

লকডাউনের পঞ্চম দিনে রাজধানীতে দায়িত্বরত পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ানো নারী চিকিৎসককে আদালতে আসতে হবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। ঘটনাটি নজরে আসার পর হাইকোর্ট বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ওনাকে (ডাক্তার) আদালতে আসতে হবে। তখন দেখা যাবে।’

আজ সোমবার (১৯ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন। আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘লকডাউনে মুভমেন্ট পাস নিয়ে চিকিৎসক-পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাগবিতণ্ডার ঘটনায় ডাক্তারকে হেনস্থা করা হয়েছে এমন ঘটনা নিয়ে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে আজ তিনটি আলাদা পত্রিকা আদালতে উপস্থাপন করেছিলাম। আমি জনস্বার্থে এই ঘটনা আপনাদের (আদালতের) কাছে উপস্থাপন করছি। পরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ বলেন, যেহেতু বিষয়টি ডাক্তার নিজেই চ্যালেঞ্জ করেছেন। আদালতে আসতে চাইলে তিনি নিজেই আসতে পারেন।’

অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ আদালতকে বলেন, গতকাল (১৮ এপ্রিল) একজন চিকিৎসককে পুলিশ হয়রানি করেছে। আমি জনস্বার্থে এই ঘটনাটি আপনাদের কাছে উপস্থাপন করছি। একজন নারী চিকিৎসককে রাস্তায় হেনস্তা করা হয়েছে- এ বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা চাচ্ছি। তখন আদালত বলেন, পুলিশ-চিকিৎসক ও ম্যাজিস্ট্রেট রাস্তায় বাগবিতণ্ডা করেছেন। তাকেই আদালতে আসতে হবে। তখন বিষয়টি দেখা যাবে।’

রবিবার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে সরকারি বিধিনিষেধের পঞ্চম দিনে ‘মুভমেন্ট পাস’ নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়ান এক নারী চিকিৎসক, ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তা। তিনপক্ষের বাগবিতণ্ডার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ অনেককে নানা পর্যবেক্ষণ ও মন্তব্য করতে দেখা গেছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, দুপুরে এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদা শওকত জেনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের চেকে পড়েন।

সেখানে ঢাকা জেলা প্রশাসন অফিসের সহকারী কমিশনার শেখ মো. মামুনুর রশিদ আদালত পরিচালনা করছিলেন। নিউ মার্কেট থানার একজন পরিদর্শকের নেতৃত্বে একাধিক পুলিশ সদস্য সেখানে দায়িত্বরত ছিলেন।

চেকপোস্টে পুলিশ সদস্যরা চিকিৎসকের কাছে তার আইডি কার্ড দেখতে চান। সঙ্গে আইডি কার্ড আনেননি বলে জানান চিকিৎসক জেনি। এরপর তার কাছে মুভমেন্ট পাস দেখতে চাওয়া হয়। এ সময় জেনি কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। জিজ্ঞাসা করেন, ডাক্তারের মুভমেন্ট পাস লাগে?

তিনি গাড়িতে বিএসএমএমইউ স্টিকার ও হাসপাতাল থেকে পাওয়া তার লিখিত পাস দেখান। এরপরও পুলিশ তার কাছে আইডি কার্ড দেখতে চান। এ সময় জেনি আরও উত্তেজিত হয়ে পুলিশকে বলেন, ‘আমি ডাক্তার। করোনার মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে যাচ্ছি। আপনারা কয়জন মরছেন। আমরা ১৩০ জন মরেছি।’
এই বিভাগের আরও খবর
ব্যাটারি রিকশা নিয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ব্যাটারি রিকশা নিয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

দৈনিক ইত্তেফাক
শপথ নিলেন সিইসি ও চার কমিশনার

শপথ নিলেন সিইসি ও চার কমিশনার

জনকণ্ঠ
বিগত কমিশনকে বিচারের আওতায় আনার কথা বলছে সবাই: বদিউল আলম মজুমদার

বিগত কমিশনকে বিচারের আওতায় আনার কথা বলছে সবাই: বদিউল আলম মজুমদার

বাংলা ট্রিবিউন
বিদ্যুৎ চুক্তি পর্যালোচনায় শীর্ষ আন্তর্জাতিক ‘আইন সংস্থা’ চায় বাংলাদেশ

বিদ্যুৎ চুক্তি পর্যালোচনায় শীর্ষ আন্তর্জাতিক ‘আইন সংস্থা’ চায় বাংলাদেশ

নয়া দিগন্ত
আগে নির্বাচনে গেলে সংস্কার ঝুলে যাবে: ড. তোফায়েল আহমেদ

আগে নির্বাচনে গেলে সংস্কার ঝুলে যাবে: ড. তোফায়েল আহমেদ

বাংলা ট্রিবিউন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার হলেন নাসির উদ্দীন

প্রধান নির্বাচন কমিশনার হলেন নাসির উদ্দীন

ভোরের কাগজ
ট্রেন্ডিং
  • সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে 'বস্তায় বস্তায় ঘুষ' নেওয়ার অভিযোগ: দুদকের অনুসন্ধান শুরু

  • ভালোবাসা দিবসে পরী মনির ‘বুকিং’

  • নির্বাচনের আগে পাকিস্তানে জোড়া বিস্ফোরণে নিহত ২৮

  • ভিসা পদ্ধতি পুরোপুরি তুলে নিলো যে দেশ

  • শন্তিপূর্ণভাবে মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা করেছি: প্রধানমন্ত্রী

  • ২০৩৫ সালের মধ্যে চীনের পারমাণবিক অস্ত্র বাড়বে তিন গুণ

  • তানজানিয়ায় প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৯

  • ব্যাংকে ৫ কোটি টাকার বেশি থাকলে বেশি কর

  • কাতার বিশ্বকাপে ফিরছে জিদানের সেই ভাস্কর্য

  • ইন্দোনেশিয়ার নিষেধাজ্ঞায় তেলের মূল্য আকাশছোঁয়া