পাবনার রূপপুরে ইউনিয়নে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল যন্ত্র রিয়াক্টর প্রেসার ভেসেল বা পরমাণু চুল্লিপাত্র বসছে আগামীকাল রোববার। ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে প্রকল্পটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় নির্মিত হচ্ছে রূপপুর প্রকল্প। চুল্লি স্থাপনের আগে রুশ পরমাণু শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক এলেক্সি লিখাচেভ বলেন, বিজ্ঞান নিয়ে বছরের পর বছর রাশিয়া যে উৎকর্ষতা অর্জন করেছে, সেই অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান রূপপুরে প্রয়োগ করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কিছু ব্যবস্থাপনা রূপপুর প্রকল্পকে করেছে সবচেয়ে নিরাপদ।
রুপপুর প্রকল্প বাস্তবায়ণ করছে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন। প্রকল্প পরিচালক ও পরমাণু বিজ্ঞানী ড. মো. শৌকত আকবর বলেন, ইউনিট-১’র ভৌত কাঠামোর ভেতরে রিয়াক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের মাধ্যমে প্রায় সব ধরনের পারমাণবিক যন্ত্রাংশ স্থাপন সম্পন্ন হবে। এর ফলে এই ইউনিটের রিয়াক্টর ভবনের ভেতরের কাজ প্রায় শেষ হবে।
কী কী বসবে রিয়াক্টর ভবনে?
প্রকল্প এলাকায় গোলাকৃতি যে দুটি ভবন দেখা যায় সেগুলোই রিয়াক্টর ভবন। এদের মধ্যে একটিতে কাল বসানো হবে রিয়াক্টর প্রেসার ভেসেল বা পরমাণু চুল্লিপাত্র। এটিকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের হার্ট বা হৃদপিণ্ড বলা যেতে পারে। এই ভবনের বিভিন্ন ধাপে বসানো হয়েছে নিউক্লিয়ার যন্ত্রপাতি। পাঁচ ধরনের যন্ত্রের মধ্যে ইতিমধ্যে প্রেসারাইজার, কুল্যান্ট পাম্প এবং হাইড্রো এক্যুমুলেটর বসানো সম্পন্ন হয়েছে। রিয়াক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের পরপরই আগামী নভেম্বরে স্থাপন করা হবে স্টিম জেনারেটর।
স্টিম জেনারেটরের মাধ্যমে প্রথম ইউনিটে সব ধরনের নিউক্লিয়ার যন্ত্রপাতি বসানো শেষ হবে। প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবর বলেন, প্রতিটি যন্ত্র সর্বোচ্চ পরীক্ষা নিরীক্ষার ধাপ পেরিয়ে নকশা অনুযায়ী বসানো হচ্ছে। এ জন্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সনদ নিতে হয়েছে। কাজের মান দেখে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সময়মতো প্রকল্প শেষ হওয়ার আশা
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এ বছরের মধ্যে ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হবে রূপপুরে। ইউনিট-২’র কাজও চলছে জোরেশোরে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে, বিভিন্ন প্রস্তুতি পর্ব শেষে প্রথমত ভৌত অবকাঠামো তৈরি করা হয়। এরপর সেসব অবকাঠামোর মধ্যে পারমাণবিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়।
ভৌত কাঠামোর নির্মাণের পর খুব দ্রুত গতিতে চলে যন্ত্রপাতি বসানোর কাজ। ভৌত কাঠামো নির্মাণ গতির সাথে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরি করা হচ্ছে রাশিয়ায়। ইতিমধ্যে প্রথম ইউনিটতো বটেই দ্বিতীয় ইউনিটেরও প্রায় যন্ত্র প্রকল্প এলাকায় এসে পৌঁছেছে।
শৌকত আকবর জানান, করোনার মধ্যে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ চলেছে রূপপুরে। বন্ধ থাকেনি এক দিনের জন্যও। ওই সময়ে কিছুটা গতি কমলেও নতুন বাস্তবতায় লোকবল বাড়িয়ে এগিয়ে চলছে প্রকল্প। ২০২৩ সালে প্রথম ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার লক্ষ্যে কাজ চলছে।
১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচের এই প্রকল্পে নব্বই ভাগ টাকা ঋণ দিয়েছে রাশিয়া। একই সাথে আন্তঃরাষ্ট্রীয় কয়েকটি চুক্তির মাধ্যমে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করছে রূশ ঠিকাদার এটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট। বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পাশাপাশি এটি পরিচালনার জন্য জনবলও তৈরি করে দিচ্ছে রাশিয়া।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়