ইউরোতে ব্যর্থ হওয়া দুই ইউরোপিয়ান পরাশক্তি ফ্রান্স ও ইতালি গতকাল মুখোমুখি হয়েছিল নেশনস লীগের ম্যাচে। তবে ঘরের মাঠে খেলা হওয়ায় এবং সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় ফেবারিট ধরা হচ্ছিল ফ্রান্সকেই। মাত্র ১৩ সেকেন্ডের মধ্যে গোল করে ইতালিকে কড়া বার্তা দিয়েই শুরুটা করেছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে-আতোয়ান গ্রিজমানরা। কিন্তু এরপরই যেন ভোজবাজির বদলে যায় সব কিছু। পিছিয়ে পড়া ইতালি ঘুরে দাঁড়ায় দারুণভাবে এবং ম্যাচ জিতে নেয় ৩-১ গোলে।
প্যারিসে এক মিনিট পেরোনোর আগেই ব্রাডলি বারকোলার গোলে পিছিয়ে পড়ে ইতালি। ৬ মিনিটের মাথায় ডেভিড ফ্রাত্তেসির হেড পোস্টে না লাগলে সমতায় ফিরতে পারত তারা। তবে শুরুর সুযোগ হাতছাড়া হলেও ৩০ মিনিটে ঠিকই ম্যাচে ফেরে ইতালি। দারুণ এক গোলে আজ্জুরিদের সমতায় ফেরান ফেদেরিকো ডিমারকো।
সমতাতেই শেষ হয় প্রথমার্ধ। বিরতির পর ৫০ মিনিটে অসাধারণ ফিনিশিংয়ে ইতালিকে এগিয়ে দেন ফ্রাত্তেসি। এরপর ৭৪ মিনিটে গিয়াকোমো রাসপাদোরির গোলে ব্যবধান আরও বাড়ায় লুসিয়ানো স্পালেত্তির দল।
সর্বশেষ ইউরোতে দ্বিতীয় রাউন্ডেই থেমে যায় ইতালির দৌড়। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে সেই হারের পর বেশ সমালোচনার মুখেও পড়তে হয় দলটিকে। তবে ফ্রান্সকে হারিয়ে কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেল দলটি।
দলের জয় নিয়ে ম্যাচ শেষে ইতালির কোচ স্পালেত্তি বলেন, ‘ইতালিয়ানরা ফুটবল ভালোবাসে। সাম্প্রতিক সময় তারা বেদনাহত হয়েছিল। আমি আজ আনন্দিত। দলের ভালো পারফরম্যান্স দেখে স্বস্তি ফিরে এসেছে।’ এখান থেকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চান জানিয়ে স্পালেত্তি বলেন, ‘এখন আমরা এ পথ ধরে চলতে পারি এবং আমরা দেখেছি এই দলটা কতটা সম্ভাবনাময়।’
স্পালেত্তির আনন্দের বিপরীতে হতাশা প্রকাশ করেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম। দলের পারফরম্যান্স নিয়ে ফরাসি কোচ বলেন, ‘এই হার আমাদের আহত করেছে। আমি সমালোচনায় অভ্যস্ত। যদিও ক্যারিয়ারে আমি হারের চেয়ে বেশি জিতেছি।’
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়