সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এটি উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শোকের মাসে সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করেছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেহেশত থেকে খুশি হবেন। আমরা এ দেশের মানুষকে সুন্দর ও উন্নত জীবন দেওয়ার চেষ্টা করছি, যার জন্য তিনি তার সারাজীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের কথা বিবেচনায় নিয়ে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালু করেছে সরকার। আপাতত চার শ্রেণীর জনগোষ্ঠীর জন্য চার ধরনের পেনশন কর্মসূচি চালু করা হচ্ছে। সেগুলো হলো প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রবাসী। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি’, স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা’, প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য ‘প্রবাসী’ ও দেশের নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ‘সমতা’ স্কিম। তবে চাঁদাদাতা যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে স্কিম পরিবর্তন করতে পারবেন।
সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি এমনভাবে করা হচ্ছে, যাতে দেশের ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সব নাগরিকই এ ব্যবস্থার আওতায় আসতে পারেন এবং ৬০ বছর বয়স থেকে তারা আজীবন পেনশন পাবেন। শুরুর দিকে চিন্তা না থাকলেও পরে ৫০ বছরের বেশি বয়সীদেরও পেনশন কর্মসূচির আওতায় রাখার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। তারা টানা ১০ বছর চাঁদা দেয়ার পর পেনশন সুবিধা পাবেন। পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণকারীকে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রত্যেককে একটি ইউনিক আইডি নম্বর দেয়া হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম মোস্তফা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে গত রোববার ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা-২০২৩’ জারি করা হয়। বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিটি স্কিমের বিপরীতে নির্ধারিত পরিমাণ চাঁদা দেয়া সাপেক্ষে মাসিক পেনশনের প্রাপ্যতা অর্জিত হবে। ১৮-৫০ বছর বয়সী জাতীয় পরিচয়পত্রধারী (এনআইডি) সব নাগরিকই পেনশন স্কিমে নিবন্ধিত হতে পারবেন। অবশ্য বিশেষ বিবেচনায় ৫০ ঊর্ধ্ব নাগরিকও এ স্কিমে যুক্ত হতে পারবেন। এক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্ন এক বছর চাঁদা দেয়ার পর যে বয়সে উপনীত হবেন, তার থেকে আজীবন পেনশন প্রাপ্য হবেন। কোন স্কিমে এবং কী পরিমাণ চাঁদা দিলে মাসিক কত টাকা করে পেনশন পাবেন, সেটাও উল্লেখ রয়েছে বিধিমালায়। প্রবাসী বাংলাদেশীদের এনআইডি না থাকলে পাসপোর্ট দিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন। তবে স্বল্প সময়ের মধ্যে এনআইডি নিয়ে জমা দিতে হবে।
অনলাইন ব্যাংকিং, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড বা তফসিলি ব্যাংকে চাঁদা জমা দেয়া যাবে। জরিমানা ছাড়া পরবর্তী এক মাসের মধ্যে চাঁদা দেয়া যাবে। তবে এর বেশি সময় অতিবাহিত হলে প্রতিদিনের জন্য গুনতে হবে ১ শতাংশ হারে বিলম্ব ফি। পরপর তিন মাস চাঁদা দিতে ব্যর্থ হলে পেনশন হিসাব স্থগিত হয়ে যাবে। সব বকেয়া পরিশোধ না হলে তা আর সচল হবে না।
চাঁদাদাতা নিজের এবং পরিবারের প্রয়োজনে চিকিৎসা, গৃহনির্মাণ, গৃহ মেরামত এবং সন্তানদের বিয়ের জন্য তহবিলে জমাকৃত অর্থের ৫০ শতাংশ ঋণ হিসেবে তুলতে পারবেন। তা নির্ধারিত ফিসহ সর্বোচ্চ ২৪ কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে, যা তার হিসাবে জমা হবে। একটি ঋণ চলমান থাকতে নতুন করে ঋণ নেয়া যাবে না।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়