আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির সার্চ কমিটি গঠনকে ইতিবাচকভাবে দেখছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির নেতারা বলছেন, এই কমিটি নিরপেক্ষ ও সুন্দর হয়েছে। নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে তারা সবাই নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তাদের ব্যক্তিগত ইমেজ ভালো ও সুনাম রয়েছে। এই সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত নির্বাচন কমিশন গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখবে। তারা আগামীতে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনসহ সব নির্বাচনে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে জাতিকে সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবেন।
এ বিষয়ে গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ভোরের কাগজকে বলেন, রাষ্ট্রপতি সাংবিধানিকভাবেই সার্চ কমিটি গঠন করেছেন। এটি অত্যন্ত সুন্দর ও ভালো সার্চ কমিটি হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। আমরা বিশ্বাস করি, গঠিত নির্বাচন কমিশনও অত্যন্ত সুযোগ্য কমিশন হবে। তারা দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবেন।
সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য আবদুর রহমান বলেন, সার্চ কমিটি গঠনকে আমরা ইতিবাচকভাবেই দেখছি। আগামীতে অবাধ নির্বাচন হবে। এজন্য তারা একটি সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। সার্চ কমিটির সদস্যদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আমি আপত্তি বা খুশি কোনোটাই ব্যক্ত করছি না। রাষ্ট্রপতি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখছি।
নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির সার্চ কমিটি নিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের লক্ষ্যে আইন অনুযায়ী সার্চ কমিটিতে সাংবিধানিক পদধারীদের এবং একজন নারীসহ সুশীল সমাজেরও দুজনকে রাখা হয়েছে। তারা যে অত্যন্ত গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং নিরপেক্ষ মানুষ হিসেবে অতীতে ভূমিকা রেখেছেন, তা সবাই স্বীকার করবেন। আমি মনে করি, সুন্দর একটি সার্চ কমিটি হয়েছে। তাদের মাধ্যমে গঠিত নির্বাচন কমিশনের দ্বারা বাংলাদেশে একটি সুন্দর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
দলটির আরেক যুগ্ম সাধারণ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে সংবিধান অনুযায়ী একটি সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য, সংবিধানের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখার জন্য একটা প্রথম পদক্ষেপ। একটা মাইলফলক। যাদের সার্চ কমিটিতে নেয়া হয়েছে, তাদের আমরা অভিনন্দন জানাই, স্বাগত জানাই। সার্চ কমিটির মাধ্যমে সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনের সদস্য রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেবেন। যার মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আগামী দিনে জাতিকে উপহার দেবে। গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অটুট থাকবে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়