সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে। জেলার নদ-নদীর পানি সকল পয়েন্টে ধীরগতিতে কমছে। তবে পানি কমলেও দুর্ভোগ বাড়ছে। বন্যায় সব হারিয়ে নিঃস্ব হওয়া পরিবারগুলোতে চলছে হাহাকার। রাস্তাঘাটের বিপুল ক্ষয়ক্ষতিতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। বিভিন্ন সড়কে এখন বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলার পাশাপাশি নগরীতেও পানি কমা অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে নগরীর বন্যাকবলিত প্রধান সড়কগুলো থেকে বন্যার পানি সরেছে। তবে এখনো কিছু পাড়া মহল্লায় পানি রয়ে গেছে। পানিতে বিকট দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।
রোববার বিকেলে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট এই সব তথ্য জানিয়েছে।
সিলেট বিভাগীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম শহিদুল ইসলাম বলেন, সিলেটের সবকটি পয়েন্টে নদ-নদীর পানি ধীরগতিতে কমছে। এর মধ্যে কিছু নদীর পানি কয়েকটি পয়েন্টে এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আশা করছি, অন্য নদীগুলোতেও বিপৎসীমার নিচে নেমে আসবে।
জানা গেছে, নগরীর উপশহর, তেররতন, সোবহানীঘাট, যতরপুর, মিরাবাজার, জামতলা, তালতলা, শেখঘাট, বেতের বাজার, ঘাসিটুলা, কুয়ারপাড়, লালাদিঘীর পাড়, মির্জাজাঙ্গাল এলাকার পানি মূল সড়ক থেকে নেমে গেছে। তবে কিছু পাড়া-মহল্লার অভ্যন্তরের সড়ক ও বাসাবাড়ির সামনে পানি এখনো জমে রয়েছে। এসব পানিতে ময়লা-আবর্জনা ভাসতে দেখা গেছে। পানিগুলোও পচে কালো রং ধারণ করে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
নগরীর বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) রুহুল আলম বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের আশ্রয়কেন্দ্রগুলো থেকে লোকজন বাসাবাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত মহানগর এলাকায় সহস্রাধিক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান করেছিল। রোববারও কিছু মানুষ আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে গেছে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়