মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, গত কয়েক মাসে আগে ভারতে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৫০ হাজার রুপি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তবে তাতে ব্যবসায়ী বা কারিগর, উভয়ের কারও কোনো লাভ হয়নি।
এর কারণ, গয়না বা ধাতব সোনা নয়, বিনিয়োগ পণ্য হিসেবে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম বেড়েছিল সোনার। তার ফলে চাপ বেড়েছিল ক্রেতারও।
গতকাল সোমবার কলকাতায় প্রতি ১০ গ্রাম (২৪ ক্যারাট) পাকা সোনার দর ছিল ৪৮ হাজার ২৫০ রুপি (জিএসটি বাদে)।
মহামারি করোনভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর ভারতে এখন অন্য চিত্র দেখা যাচ্ছে। সোনার দাম সর্বকালীন উচ্চতার সাপেক্ষে এখন প্রায় ১২ শতাংশ নিচে নেমে এসেছে।
ফলে, সাধারণ ক্রেতার কাছে সোনা ও গয়নার চাহিদা যেমন বেড়েছে, তেমনি উৎসবের মৌসুমের আগে মজুত বৃদ্ধির দিকে জোর দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এতে চাহিদার পাশাপাশি বেড়েছে সোনার আমদানিও। ব্যবসায়ীদের আশা, আগামী কয়েক মাসে ক্রেতাদের কেনাকাটা আরও বাড়বে।
দেশটির সরকারি সূত্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসে ভারতে সোনার আমদানি হয়েছে প্রায় ১২১ টন, ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্যমান প্রায় ৪৬ হাজার কোটি রুপি, যা আবার গত পাঁচ মাসের সর্বোচ্চ।
আগের বছরের একই সময়ে তা ছিল ৬৩ টন। সোনা ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, সেপ্টেম্বরেও আমদানি ৮০ টনের কাছাকাছি থাকতে পারে।
সোনা ব্যবসায়ীদের ব্যাখ্যা, মহামারির জন্য ব্যবসা ভালো রকম ধাক্কা খেয়েছিল। গত বছর বিয়েসহ পারিবারিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান স্থগিত রেখেছিলেন অনেকেই। দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ মূল্যের কারণে সাধারণ ক্রেতারাও মুখ ফিরিয়ে রেখেছিলেন।
এর কারণে, পুরোনো চাহিদা জমছিল অনেক দিন ধরে। এবারের উৎসবের মৌসুমের আগে সেই পুঞ্জীভূত চাহিদার কিছুটা অংশ হলেও মিটিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাই কম দামের সুবিধা নিয়ে গত মাসে সোনার মজুত বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়