মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসান দেশের সিনিয়র ক্রিকেটার। বিপিএলের দল চলে তাঁদের নামে। তামিম ইকবালও এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। দেশের এ তিন সিনিয়র ক্রিকেটার বিপিএলের চলতি লিগে খেলছেন তিনটি ভিন্ন দলে। মাশরাফির দল সিলেট স্ট্রাইকার্স, ফরচুন বরিশালের সঙ্গে টানা দ্বিতীয়বার খেলছেন সাকিব। তামিম যোগ দিয়েছেন খুলনা টাইগার্সে।
এই তিন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে মাশরাফি, সাকিব, তামিম শুধু ক্রিকেটারই নন, পরোক্ষে দলের সর্বেসর্বাও। সিলেট দলটিকে নিজের হাতে গড়ে তুলেছেন মাশরাফি। সাকিব পেছন থেকে ভূমিকা রাখছেন বরিশালে। একইভাবে খুলনায় নানা ভূমিকায় রয়েছেন তামিম। সেদিক থেকে দেখলে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক না হয়েও মালিকদের চেয়ে কোনো অংশে কম দায়িত্ব পালন করছেন না তাঁরা। দলের হয়ে শুধু ব্যাট বলই নয়, স্পন্সর জোগাড় করতে মার্কেটেও ছুটতে হচ্ছে তাদের।
সিলেট স্ট্রাইকার্সের মালিক প্রবাসী ব্যবসায়ী সারওয়ার চৌধুরী। কয়েকজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বিপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি হয়েছেন তিনি। মাশরাফির সঙ্গেও বন্ধুত্ব সারওয়ারের। সে কারণেই নড়াইল এক্সপ্রেসের হাতে দল গড়া থেকে পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন তাঁরা। মাশরাফিও মনপ্রাণ দিয়ে সিলেট দলটিকে সামনে ও পেছন থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সিলেটের স্পন্সর পাওয়ার ক্ষেত্রে পুরো ভূমিকাই মাশরাফির।
ক্রিকেটপাড়ার সবারই জানা, এ ক্ষেত্রে কতটা শ্রম দিতে হয়েছে তাঁকে। সিলেটকে তাই মাশরাফির দল বলেই জানে সবাই। জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক সামনে থাকাতেই প্রবাসী ব্যবসায়ী হওয়ার পরও সারওয়ার চৌধুরীকে ফ্র্যাঞ্চাইজি করেছে বিসিবি। সাকিব মাশরাফির মতো অতটা নয়। তিনি নিজেই একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে পদ্মা নামে বিপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য আবেদন করেছিলেন।
পদ্মা দল না পাওয়ায় সাকিব ফরচুন বরিশালে যোগ দেন সরাসরি চুক্তিতে। বরিশালের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বাঁহাতি এ অলরাউন্ডারের। দেশের বাজার অর্থনীতির চাপা সময়েও স্পন্সর পেতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন তিনি। বেশ কয়েকটি স্পন্সর পাওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রয়েছে তাঁর। মাশরাফির মতো দল গড়ার ক্ষেত্রেও সর্বেসর্বা সাকিবই। দেশি-বিদেশি ক্রিকেটার সাকিবের পছন্দেই নেওয়া হয়েছে। মালিক পক্ষ থেকেও সর্বাত্মক স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ টি২০ অধিনায়ককে।
খুলনা টাইগার্সের মালিকানা পেয়েছেন ব্যবসায়ী ইকবাল আল মাহমুদ। ফ্র্যাঞ্চাইজি পাওয়ার আগে থেকেই তামিমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল তাঁর। যে কারণে ফ্র্যাঞ্চাইজি পাওয়ার পরই বাঁহাতি এ ওপেনারের হাতেই দলের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া হয়। তামিমও আন্তরিকতা দিয়ে দল গড়া থেকে বাণিজ্যিক দিক দেখেছেন। নিজে যেসব প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর, সেখান থেকে খুলনার জন্যও স্পন্সর এনেছেন।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়