স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আগামী ২৫ জুন। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মত উপকূলীয় বাগেরহাট জেলার মানুষের মধ্যে আবেগে, উচ্ছ্বাস, উত্তেজনার ঢেউ বয়ে যাচ্ছে। যারা যুগের পর যুগ ধরে এই একটি সেতুর অভাবে সীমাহীন দূর্ভোগের শিকার হয়েছেন। তাঁরা আজ আত্মপ্রত্যয়ী। অনান্য শ্রেণী-পেশার মত কৃষক ও কৃষি পণ্যের ব্যবসায়ীরা উচ্ছসিত। কৃষি নির্ভর এ জেলার কৃষিতে ‘‘পদ্মা সেতু” র ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে তাঁরা মনে করছেন।
ভোরে রওনা দিয়ে অফিস আদালতের কাজ সেরে বাড়ি এসে রাতের খাবার খাওয়া যাবে। অফিস আদালতে সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তারা ভোরে বাসে চেপে রাজধানীতে ঠিক সময়ে পৌছে যাবেন। অনুরূপ কৃষি পণ্য সঠিক বাজার পাবে। একটু ঝড়-বৃষ্টি হলে শাক-সবজি পঁচবে না। ১৫ টাকার লাউ ৩ টাকায় বেঁচতে হবে না।
এ জেলা সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ি চাষের জন্য বিখ্যাত। এখানে বাগদা ও গলদা মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার চিংড়ি ঘের রয়েছে। বছরে কমপক্ষে দেড় হাজার কোটি টাকার চিংড়ি ও সাদা মাছ এ জেলায় উৎপাদিত হয়। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মিলিয়ে বাগেরহাটের ৫ লক্ষাধিক মানুষ মৎস্য শিল্পের সাথে জড়িত।
বাগেরহাট জেলা বাগদা চিংড়ি চাষি সমিতির সভাপতি সুমন ফকির বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে দ্রুত ও সহজে রাজধানীসহ সমগ্র বাংলাদেশে যাতায়াত করা যাবে। ফলে ফড়িয়া ও ব্যাপারী লাভোবান হবেন।
কৃষক সমিতির নেতা এবং উন্নয়ন কর্মী ইলিয়াস হোসেন বাবুল বলেন, এ জেলার উৎপাদিত শাক-সবজি, মাছ, মুরগী, দুধ, ডিম এখন সরাসরী রাজধানী ঢাকাসহ দেশের শেষ প্রান্তে পৌঁছে যাবে মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে। দ্রুত পচনশীল পণ্যও এখন আর পঁচবে না। চাষীরা এবার ন্যায্য মূল্য পাবেন। আসলে পদ্ম সেতু’আমাদের কৃষকের স্বচ্ছলতার প্রতীক।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়