স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সঞ্জয় চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন এক নারী শিক্ষক।
বুধবার সকালে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সঞ্জয় চক্রবর্তী বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে কর্মরত আছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার সঙ্গে উপসচিব ড. সনজয় চক্রবর্তীর পরিচয়। পরিচয়ের পর সনজয় চক্রবর্তী তার সঙ্গে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে নিয়মিত যোগাযোগ করতে থাকেন। একপর্যায়ে সনজয় চক্রবর্তী তার মুঠোফোনেও যোগাযোগ করতে থাকেন। এভাবে ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে সনজয় চক্রবর্তী তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে তিনি রাজি হয়ে যান।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল সনজয় চক্রবর্তী তাকে লঞ্চে চাঁদপুর ভ্রমণের প্রস্তাব দিলে তিনি রাজি হন। ওই দিন লঞ্চের কেবিনে সনজয় চক্রবর্তী তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাইলে প্রথমে তিনি অসম্মতি জানান। একপর্যায়ে সনজয় চক্রবর্তী তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি শারীরিক সম্পর্কে রাজি হন।
পরবর্তীতে ওই স্কুলশিক্ষিকা সনজয় চক্রবর্তীকে বিয়ে করতে অনুরোধ জানালে, তিনি ‘বেশি বাড়াবাড়ি করলে দেখে নেওয়ার’ হুমকি দেন। এ ঘটনার সূত্র ধরে ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট এলাকার শিক্ষা কর্মকর্তা তাকে অফিসে ডেকে আসামি সনজয় চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে নিষেধ করেন এবং যোগাযোগ করলে স্কুল থেকে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন।
এ ঘটনায় ওই স্কুলশিক্ষিকা সুষ্ঠু সমাধানের জন্য এ বছরের ৮ জুন আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিস পাঠান। লিগ্যাল নোটিসের কোনো জবাব না দিয়ে আসামি সনজয় চক্রবর্তী তাকে পুনরায় হুমকি দেন।
এ বিষয়ে জানতে সনজয় চক্রবর্তীর মুঠোফোনে সাংবাদিকরা একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভড করেননি।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়