বাংলাদেশে গত পাঁচ দিন ধরে প্রতিদিন করোনাভাইরাসে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি মহামারি ভাইরাসের নতুন ঢেউয়ের ইঙ্গিত হতে পারে।
তারা বলেছেন, মাস্ক না পরা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়মগুলো মানতে জনগণের উদাসীনতা, ‘অত্যন্ত সংক্রামিত যুক্তরাজ্যের নতুন ধরন’ এবং স্বল্প সংক্রমণ হারের কারণে আত্মতৃপ্তি কোভিড-১৯ বাড়ার পেছনে মূল কারণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জনগণকে স্বাস্থ্য সতর্কতা অবলম্বন করতে উৎসাহ প্রদান, অপ্রয়োজনীয় জনসমাবেশ এড়াতে সরকারকে গণ-প্রচারণা বাড়াতে হবে এবং শতভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা উচিত।
গত ১৮ জানুয়ারি ভাইরাস সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসে। এমনকি এটি ৩ শতাংশের নিচেও নেমে এসেছিল। তবে, সোমবার সংক্রমণের হার বেড়ে ৯.৪৮ শতাংশ হয়েছে।
বুধবার সংক্রমণের হার ছিল ৫.৯৮ শতাংশ, বৃহস্পতিবার ৫.৮২ শতাংশ, শুক্র ও শনিবার যথাক্রমে এ হার ছিল ৬.৬২ ও ৬.২৬ শতাংশ। রোববার সংক্রমণের হার ছিল ৭.১৫ শতাংশ।
বুধবারের আগে প্রতিদিন করোনা শনাক্ত এক হাজারেরও নিচে ছিল। সোমবার আগের ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৭৭৩ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।
আগামী দুই সপ্তাহ গুরুত্বপূর্ণ
ইউএনবির সাথে আলাপকালে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও হেলথ অ্যান্ড হোপ হসপিটালের মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান এম এইচ চৌধুরী (লেনিন) বলেছেন, কোভিড সংক্রমণ ফের বাড়ছে, যা উদ্বেগের বিষয়।
‘করোনার সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধি ইঙ্গিত দেয় যে আগামী দিনগুলোতে দেশ একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে। যদি ভাইরাসগুলোর ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান প্রবণতা পরবর্তী দুই সপ্তাহ অব্যাহত থাকে, তবে আমরা এটিকে কোভিড-১৯ এর একটি নতুন ঢেউ বলব,’ বলেন তিনি।
বিশেষজ্ঞ জানান, দীর্ঘ সময়ের জন্য স্বল্প সংক্রমণের হার মানুষকে এমন ধারণা দিয়েছে যে, এই মারাত্মক রোগটি খুব শিগগিরই নির্মূল হচ্ছে।
এছাড়াও লেনিন বলেছেন, অনেকেই ভাবছেন যে গণটিকা দেয়ার কার্যক্রম চলছে তাই ধীরে ধীরে ভাইরাসটি দুর্বল হয়ে পড়ছে।
‘এজন্যই মানুষ স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রোটোকলগুলোকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এড়িয়ে চলেছে। তারা মাস্ক পরেনি, শারীরিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখে না। জনগণ পর্যটন স্পটগুলোতেও যাচ্ছে এবং জনসমাবেশে যোগ দিচ্ছে এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক কাজগুলোও যথারীতি চলছে, যা ভাইরাসের সংক্রমণের হারকে বৃদ্ধি করছে,’ বলেন তিনি।
লেনিন বলেন, যুক্তরাজ্যের নতুন ধরনের করোনাভাইরাস জানুয়ারিতে বাংলাদেশে সনাক্ত হয়েছিল। ‘গত দু'মাস ধরে এটি প্রতিরোধের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়ায় সম্ভবত এখন এই রূপটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।’
তিনি আরো বলেন, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিলের তিনটি ধরন ছাড়াও ভারতে গত মাসে দুটি উচ্চতর মিউট্যান্ট ভাইরাসের ধরন- এন ৪৪০ কে এবং ই ৪৮৪ কিউ সনাক্ত হয়েছে। ‘এই ধরন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।’
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়