ব্যালন ডি’অরের পর ফুটবলের আরেক মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘দ্য বেস্ট ফিফা অ্যাওয়ার্ড’ দেয়া হবে আগামীকাল। লন্ডনে বাংলাদেশ সময় সোমবার দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে এ তারকাখচিত অনুষ্ঠান।
২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট পর্যন্ত পারফরম্যান্সকে বিবেচনায় নেয়া হবে। ২০২২ সালের ছেলেদের বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স এখানে হিসেবে আসছে না। যদিও মেয়েদের বিশ্বকাপ বিবেচনায় নেয়া হবে, যেটি ২০২৩ সালের ১ আগস্ট শুরু হয়ে ২০ আগস্ট শেষ হয়।
এবার ছেলেদের ক্যাটাগরিতে তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন সর্বশেষ ব্যালন ডি’অর জয়ী ইন্টার মিয়ামির আর্জেন্টাইন ফরওয়ার্ড লিওনেল মেসি, ম্যানচেস্টার সিটির নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ড আর্লিং হালান্ড ও পিএসজির ফরাসি ফরওয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে। এই তিনজনের মধ্যে ফেভারিট হালান্ড। সিটির হয়ে প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ জয়ের পর প্রথমবারের মতো উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতে গৌরবের ট্রেবল পূর্ণ করেন তিনি। এছাড়া উয়েফা সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপাও জিতেছে তার দল। যে সময়টি পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে সেই সময়ে তিনি ৩৩ ম্যাচে ২৮ গোল করেছেন। গত জুলাইয়ে ২৩ বছরে পা দেয়া এই খেলোয়াড়টির গতি, শক্তি আর ফিনিশিং দক্ষতায় মুগ্ধ ফুটবল বিশ্বকাপ। হয়তো আজ রাতে তার হাতেই উঠছে ফিফার পুরস্কারটি।
মেয়েদের ক্যাটাগরিতে পুরস্কারের জন্য লড়বেন স্পেনের মিডফিল্ডার আইতানা বোনমাতি, তার বার্সেলোনা ও স্পেন সতীর্থ মিডফিল্ডার জেনিফার হারমোসো এবং রিয়াল মাদ্রিদের ১৮ বছর বয়সী কলম্বিয়ান ফরওয়ার্ড লিন্ডা কাইসেডো। এরই মধ্যে বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের গোল্ডেন বল ও পরে ব্যালন ডি’অরজয়ী বোনমাতি এবার ফিফার বর্ষসেরার রেসেও ফেভারিট।
সেরা পুরুষ ও নারী খেলোয়াড়ের বাইরেও লন্ডনের এই অনুষ্ঠানে দেয়া হবে সেরা পুরুষ ও নারী গোলকিপার, সেরা পুরুষ ও নারী কোচ, সেরা গোলের দ্য পুসকাস অ্যাওয়ার্ড, ফিফা ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড ও ফিফা ফ্যান অ্যাওয়ার্ড।
কোচদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন ম্যানসিটিকে গত মৌসুমে পাঁচটি শিরোপা জেতানো কোচ পেপ গার্দিওলা, ইন্টার মিলানের সিমোন ইনজাগি ও নাপোলির লুসিয়ানো স্পালেত্তি। সেরা নারী কোচের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন বার্সেলোনার জোনাতান গিরালদেজ, চেলসির এমা হায়েস ও ইংল্যান্ডের সারিনা উইগম্যান।
সেরা গোলকিপারের পুরস্কারের রেসে আছেন সেভিয়া থেকে সৌদি আরবের আল হিলালে নাম লেখানো মরক্কোর ইয়াসিন বোনো, রিয়াল মাদ্রিদের বেলজিয়ান গোলকিপার থিবো কোর্তোয়া ও ম্যানচেস্টার সিটির ব্রাজিলিয়ান গোলকিপার এদেরসন।
নারী ক্যাটাগরিতে আছেন ওয়েস্ট হ্যামের অস্ট্রেলিয়ান গোলকিপার ম্যাকেঞ্জি আর্নল্ড, বার্সেলোনার স্প্যানিশ গোলকিপার কাতা কল ও ম্যানইউর ইংলিশ গোলকিপার ম্যারি আর্পস।
৩০ বছর ধরে সেরা খেলোয়াড় ও কোচদের পুরস্কার দিয়ে আসছে ফিফা। এর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হলো ছেলেদের পুরস্কার। ফিফার সর্বপ্রথম সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটি পাননি জার্মানির লোথার ম্যাথিউস। ১৯৯০ বিশ্বকাপে জার্মানির শিরোপা জয়ে সফলভাবে নেতৃত্ব দেয়া ম্যাথিউস ১৯৯১ সালে প্রথম ফিফার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতে ইতিহাস গড়েন।
২০১৬ সালে ‘দ্য বেস্ট ফিফা মেনস প্লেয়ার’ অ্যাওয়ার্ড নাম পাওয়ার আগে নানা নামে দেয়া হয়েছে ফিফার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। ১৯৯১ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ছিল ‘ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’, ২০১০ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত ছিল ‘ফিফা ব্যালন ডি’অর’ এবং ২০১৬ সাল থেকে ‘দ্য বেস্ট ফিফা মেনস প্লেয়ার’ নামে দেয়া হচ্ছে ফিফার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।
২০০১ সালে চালু হয় ফিফা উইমেনস ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার, যা পরে ‘দ্য বেস্ট ফিফা উইমেনস প্লেয়ার’ নাম পায়। প্রথম দুই বছর পুরস্কারটি জিতে নেন যুক্তরাষ্ট্রের মিয়া হ্যাম। পরে আধিপত্য করেন ব্রাজিলের মার্তা, তিনি ছয় বছরের মধ্যে পাঁচবারই ফিফার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতে নেন।
ফিফা পুরস্কারের কিছু পরিসংখ্যান:
* লিওনেল মেসি (২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫, ২০১৯ ও ২০২২) ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (২০০৮, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৬ ও ২০১৭) মিলে ফিফার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন ১২ বার। তাদের বাইরে আর ১৬ খেলোয়াড় জিতেছেন মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার।
* দেশ হিসেবে সর্বাধিক আটটি পুরস্কার জিতেছে ব্রাজিল। রোনালদো তিনবার, রোনালদিনহো দুবার এবং রোমারিও, রিভালদো ও কাকা জিতেছেন একবার করে।
* ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকার বাইরে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ফিফার সেরা হয়েছেন জর্জ উইয়া (১৯৯৫), যিনি পরবর্তীতে লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন।
* ব্রাজিলের মার্তা নারীদের মধ্যে সর্বাধিক ছয়বার ফিফার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়