দেশে এখনো লকডাউনের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তবে খাবারের দোকানে বসে খেতে হলে টিকা সনদ দেখানো বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণে ঊর্ধ্বগতি এবং দেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগী পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এখনই লকডাউনের বিষয়ে ভাবছি না। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে মাস্ক পরা এবং রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়ার ওপর কড়াকড়ি আরোপের কথা বলেন তিনি। কেউ যদি করোনা টিকা না নিয়ে থাকে, তাহলে রেস্টুরেন্টে খেতে পারবে না। সেখানে খেতে হলে টিকা সনদ দেখাতে হবে। তবেই রেস্টুরেন্ট তাকে খাবার সরবরাহ করবে। টিকা সনদ ছাড়া কাউকে খাবার পরিবেশন করলে সেই রেস্তোরাঁকে জরিমানা করা হবে বলেও জানান তিনি।
স্কুল খোলা রাখা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকা নেয়ার ওপর জোর দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে লক্ষ করা গেছে, শিক্ষার্থীরা টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে তেমন আগ্রহী নয়। কোন কোন ক্ষেত্রে কেমন কড়াকড়ি আসছে, তা ১৫ দিনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ থেকে প্রজ্ঞাপন দিয়ে জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওমিক্রন সম্পর্কে করণীয় নিয়ে বৈঠক হলেও আলোচনায় আসে করোনাভাইরাস নতুন করে বৃদ্ধির বিষয়টি। আমরা করোনাভাইরাস মোকাবেলা করছি। তাই অনেক কিছুই জানতে পারছি, কীভাবে কী করতে হবে। ওমিক্রনের বিষয়ে নেয়া সিদ্ধান্তগুলোও পরে জানানো হবে।
এখন পর্যন্ত ওমিক্রনের যত রোগী শনাক্ত হয়েছে, তাদের সবাই হয় বিদেশফেরত কিংবা বিদেশফেরতদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঢিলেঢালা কোয়ারেন্টিন নয়, পুলিশ পাহারায় কঠোর কোয়ারেন্টিনের ওপর জোর দেয়ার ক্ষেত্রেও আলোচনা হয়েছে।
দেশে ফের সংক্রমণ বৃদ্ধির ধারায় দৈনিক শনাক্ত কভিড রোগীর সংখ্যা সাড়ে ছয়শ ছাড়িয়ে যাওয়া এবং নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার আবার ৩ শতাংশ পেরিয়ে যাওয়ার দিন এ বৈঠক বসে। এর মধ্যে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ ছড়ানো ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের ১০ রোগীও শনাক্ত হয়েছে বাংলাদেশে। মূলত তা নিয়েই এ বৈঠক ডাকা হয়েছিল।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, তথ্য সচিব মো. মকবুল হোসেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে মাঠ পর্যায় থেকে জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), বিভাগীয় কমিশনার, স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক, সিভিল সার্জনসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
এদিকে দেশে আগামী মার্চ-এপ্রিলে আবারো নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এক সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
খুরশীদ আলম বলেন, আমরা ধারণা করছি মার্চ থেকে এপ্রিলের মধ্যে সংক্রমণ বাড়তে পারে। গত দুই বছরে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় নেয়া ব্যবস্থাপনা ও অভিজ্ঞতার আলোকে জেলা পর্যায়ে হাসপাতাল পুরো প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জানুয়ারির মধ্যেই তা শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়