বাজে সময় পার করছে চেলসি। রিয়াল মাদ্রিদের মাঠেও তাদের ভালো অভিজ্ঞতা হলো না। তবে যে লড়াই তারা করেছে, তা আশা জাগানিয়া। চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ১০ জনের দল নিয়ে তারা হেরে গেছে ২-০ গোলে। অসংখ্য সুযোগ নষ্ট করায় বড় ব্যবধানে জিততে পারেনি রিয়াল। অবশ্য সেমিফাইনালের পথে বড় ধাপ ফেললো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। চেলসি কিন্তু দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়ানোর আত্মবিশ্বাস সান্তিয়াগো বার্নাব্যু থেকে নিয়ে যাচ্ছে।
প্রথম অর্ধে করিম বেনজেমার গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। দ্বিতীয়ার্ধে শেষ আধঘণ্টা একজন কম নিয়ে খেলেছে চেলসি। তবে ১০ জনের দল নিয়েও তারা আর একটি গোল হজম করেছে। মার্কো আসেনসিও করেন মাদ্রিদের দ্বিতীয় গোল। মূলত ব্লু গোলকিপার কেপার দারুণ চেষ্টার কাছে হার মেনে ব্যবধানটা আরও বড় করতে পারেনি স্বাগতিকরা।
প্রথমেই চেলসির আক্রমণে গোল খেতে বসেছিল রিয়াল। কাঁতের বাড়ানো বল পেয়ে জোয়াও ফেলিক্স স্বাগতিকদের বক্সের দিকে এগোতে থাকেন। দৌড়ের গতি কম থাকায় তার মার্কার এডার মিলিতাওয়ের চ্যালেঞ্জ এড়াতে পারেননি পর্তুগিজ তারকা। গোলমুখে শট নিয়েছিলেন বটে, রিয়াল গোলকিপার থিবো কোর্তোয়া তা সহজে রুখে দেন।
এরপর চেলসির কিপার কেপাকে ব্যস্ত সময় পার করতে হয়েছে। ১২ মিনিটে বক্সের মধ্যে থিয়াগো সিলভাকে পেছনে ফেললেও দুর্বল বাঁ পায়ের শটে বল লক্ষ্যে ঠিকমতো রাখতে পারেননি বেনজেমা। অতিথি গোলকিপার তা রুখে দেন।
ফরাসি ফরোয়ার্ডের গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। কারভাহালের ভাসানো বল ভিনিসিউস লক্ষ্যে রেখেছিলেন, কেপা তা সেভ করলেও ফিরতি শটে খালি জাল কাঁপান বেনজেমা। ২১ মিনিটে পিছিয়ে পড়া চেলসি দুই মিনিট পর সমতা ফেরানোর কাছে ছিল। কোর্তোয়া রুখে দেন রহিম স্টার্লিংয়ের প্রচষ্টা।
২৬ মিনিটে ভিনিসিউসের শট কেপাকে পরাস্ত করলেও গোললাইন থেকে বল বিপদমুক্ত করেন সিলভা। ৩৪ ও ৩৬ মিনিটে রদ্রিগো ও বেনজেমা শটের বিপরীতে বাধা হয় দাঁড়ান কেপা। বিরতির পাঁচ মিনিট আগে ডেভিড আলাবার দুর্বল হেড ধরে ফেলেন চেলসি কিপার।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে গোলের বেশ কাছে ছিলেন মদরিচ। ৫০ মিনিটে ভিনিসিউসের কাটব্যাক থেকে বেনজেমার পাসে রিয়ালের ক্রোট তারকার উঁচু শট গোলবারের ওপর দিয়ে যায়। দুই মিনিট পর গোলমুখের সামনে বেনজেমার পা থেকে বল খোঁচা দিয়ে বের করে নেন সিলভা।
চেলসির জন্য বিপদ ডেকে আনেন বেন চিলওয়েল। ৫৯ মিনিটে বক্সের ঠিক সামনে রদ্রিগোকে টেনে ধরে ফাউল করায় সরাসরি লাল কার্ড দেখেন এই ফুলব্যাক। ২০ মিটার দূর থকে ফ্রি কিকে নেওয়া আলাবার শট রক্ষণদেয়ালের পাশ দিয়ে গেলেও কেপা সহজে ধরে ফেলেন বল। ৬৫ মিনিটে ভিনিসিউসের ব্যাকপাসে বক্সের ভেতর থেকে কামাভিঙ্গার বাঁ পায়ের শট অনেক উঁচু ছিল।
৭১ মিনিটে দুটি পরিবর্তন আনেন কার্লো আনচেলত্তি। রদ্রিগো ও কামাভিঙ্গার জায়গায় মাঠে নামেন রুডিগার ও আসেনসিও। এরই তিন মিনিট পর ২-০ করেন আসেনসিও। কর্নারের পর ভিনিসিউসের বানিয়ে দেওয়া বলে বক্সের বাইরে থেকে গোল করেন তিনি।
ভিনিসিউস সতীর্থকে পাস না দিয়ে নিজে লক্ষ্যে শট নিয়ে সুযোগ নষ্ট করেন ৮৫ মিনিটে। তার শট চালোবাহের গায়ে লেগে কেপার হাতে পড়ে।
যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে চেলসির ব্যবধান কমানোর দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন মাউন্ট। রুডিগার স্লাইড করে তাকে ব্যর্থ করেন। আগের মিনিটে বেনজেমার হেড গোলপোস্টের ওপর দিয়ে যায়। তাতে ব্যবধান দুই গোলের বেশি হয়নি।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়