১০ দিনের মধ্যে গ্রাহকদের ২১৪ কোটি টাকা ফেরত দিতে হবে ইভ্যালিকে

‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১’ অনুযায়ী ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিকে গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম বাবদ নেওয়া ২১৪ কোটি টাকা অবিলম্বে ফেরত দেওয়া অথবা পণ্য সরবরাহের দাবি জানিয়েছে টেলি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিক্যাব)।

গতকাল রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানিয়েছেন টিক্যাবের আহ্বায়ক মুর্শিদুল হক। তিনি বলেন, গত ৪ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডাব্লিউটিও সেলের মাধ্যমে ডিজিটাল কমার্স পরিচালনায় স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা, জবাবদিহি, ভোক্তাদের আস্থা বৃদ্ধি ও অধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ২০২০ সংশোধিত ‘অনুচ্ছেদ ৩.৩.৬ অনুসারে ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১’ প্রণয়ন করে গেজেট প্রকাশিত হয়। ‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১’-এর ৩.৩.২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘পণ্যের সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করা হয়ে থাকলে ক্রেতা-বিক্রেতা একই শহরে অবস্থান করলে ক্রয়াদেশ গ্রহণের পরবর্তী সর্বোচ্চ পাঁচ দিন এবং ভিন্ন শহরে বা গ্রামে অবস্থিত হলে সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দিতে হবে। অথচ আমরা দেখতে পাচ্ছি ঢাকাসহ সারা দেশের গ্রাহকদের হাজার হাজার অর্ডার ইভ্যালিসহ বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান মাসের পর মাস ধরে ফেলে রেখেছে।’

১-৬ মাস পর্যন্ত অপেক্ষার পরও গ্রাহকদের পণ্য বা অর্থ কিছুই ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর অফিসে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কোনো ফল মিলছে না। অথচ ‘ডিজিটল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১ অনুযায়ী ১০ দিনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্রাহকদের পণ্য বা অর্থ ফেরত দেওয়ার কথা।’ তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ইভ্যালির মোট দায় ৪০৭.১৮ কোটি টাকা। গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম বাবদ ২১৩.৯৪ কোটি টাকা এবং মার্চেন্টদের কাছ থেকে ১৮৯.৮৫ কোটি টাকার পণ্য বাকিতে গ্রহণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিষ্ঠানটির কাছে কমপক্ষে ৪০৩.৮০ কোটি টাকার চলতি সম্পদ থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ৬৫.১৭ কোটি টাকা। বাকি অর্থ কোথায় তার কোনো হদিস নেই।

এ অবস্থায় গ্রাহকরা তাঁদের অগ্রিম পেমেন্ট করা অর্থ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলসহ ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় আগামী দুই মাসে ইভ্যালি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে, দায়ের তুলনায় ইভ্যালির ব্র্যান্ডভ্যালু অনেক বেশি এসব কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু অর্থ লোপাটের অভিযোগের কোনো সন্তোষজনক উত্তর তাঁরা দিচ্ছেন না। আমরা আশঙ্কা করছি গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছে ইভ্যালির দায়ের পরিমাণ আরো বেশি হতে পারে।
এই বিভাগের আরও খবর
ঈদের আগে দুই দফা বাড়তে পারে সয়াবিন তেলের দাম

ঈদের আগে দুই দফা বাড়তে পারে সয়াবিন তেলের দাম

জনকণ্ঠ
৫০%-এর বেশি আমদানি হচ্ছে আফ্রিকা থেকে

৫০%-এর বেশি আমদানি হচ্ছে আফ্রিকা থেকে

বণিক বার্তা
পেঁয়াজ রফতানিতে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা ভারতের

পেঁয়াজ রফতানিতে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা ভারতের

বাংলা ট্রিবিউন
এক্সিমের সঙ্গে একীভূত হলো পদ্মা ব্যাংক

এক্সিমের সঙ্গে একীভূত হলো পদ্মা ব্যাংক

যুগান্তর
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে উৎসে কর অর্ধেক

চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে উৎসে কর অর্ধেক

প্রথমআলো
সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান - ইউরোপ আমেরিকা এশিয়ার ৫৫ কোম্পানিকে আমন্ত্রণ পেট্রোবাংলার

সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান - ইউরোপ আমেরিকা এশিয়ার ৫৫ কোম্পানিকে আমন্ত্রণ পেট্রোবাংলার

বণিক বার্তা
ট্রেন্ডিং
  • ভালোবাসা দিবসে পরী মনির ‘বুকিং’

  • নির্বাচনের আগে পাকিস্তানে জোড়া বিস্ফোরণে নিহত ২৮

  • ভিসা পদ্ধতি পুরোপুরি তুলে নিলো যে দেশ

  • শন্তিপূর্ণভাবে মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা করেছি: প্রধানমন্ত্রী

  • ২০৩৫ সালের মধ্যে চীনের পারমাণবিক অস্ত্র বাড়বে তিন গুণ

  • তানজানিয়ায় প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৯

  • ব্যাংকে ৫ কোটি টাকার বেশি থাকলে বেশি কর

  • কাতার বিশ্বকাপে ফিরছে জিদানের সেই ভাস্কর্য

  • ইন্দোনেশিয়ার নিষেধাজ্ঞায় তেলের মূল্য আকাশছোঁয়া

  • অবিশ্বাস্য কীর্তিতে হাজার রানের ক্লাবে এনামুল বিজয়