২০০ কোটি ব্যয়ে র্নিমিত শেখ হাসিনা ধরলা সেতুটির উদ্বোধনের সাড়ে তিন বছর পেরিয়ে গেলেও কাঙ্ক্ষিত সুফল পাচ্ছেন না কুড়িগ্রামের উত্তর ধরলার মানুষ।
সরেজমিন দেখা গেছে, ছোট্ট একটি নদীই এর মূল কারণ। নদীটির নাম রতনাই। এর ওপর বেইলি ব্রিজটির মূল কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ভগ্নদশা ব্রিজটি দিয়ে ভারি চানবাহন চলাচল করছে না। যে কোনো সময়ে ভেঙেও পড়তে পারে। ফলে আগের মতো ৫০ কিলোমিটার ঘুরে মালামল নিয়ে আসছেন ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামরী উপজেলার ব্যবসায়ীরা। চলছে না ঢাকা বা আঞ্চলিক রুটের বাসগুলো। তাই রতনাই নদীর ওপর সেতু নির্মাণ হলে দ্রুত পাল্টে যাবে উত্তর ধরলার মানুষের ভাগ্য।
জানা গেছে, ফুলবাড়ীর উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নে ফুলবাড়ী-লালমনিহাট সংযোগ সড়কে সাড়ে তিন বছর আগে ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় শেখ হাসিনা ধরলা সেতু। এ সেতুটি নির্মাণের প্রাণের দাবি ছিল উত্তর ধরলার মানুষের। ৯৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৯.৮ মিটার প্রস্থের এই শেখ হাসিনা ধরলা সেতুটি নির্মাণকাজ শেষ হলে ২০১৮ সালের ৩ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেন।
সেদিন থেকে সাধারণ মানুষ চলাচল শুরু করলেও চলাচল করছে না ভারি যানবাহন বা ঢাকা ও আঞ্চলিক রুটের গাড়ি। সেতুটির পশ্চিমপারের এক কিলোমিটার দূরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট এলাকায় রতনাই নদীর ওপর বেইলি ব্রিজটি সমস্যার কারণে। ১৩৮ মিটার দৈর্ঘ্য এই বেইলি ব্রিজটির ভগ্নদশা হওয়ায় শুধু হালকা যানবাহন ছাড়া পারাপার হতে পারছে না ভারি যানবাহন।
পাহারা বসানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। ব্যস্ততম সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ দাঁড়িয়ে থাকা ব্রিজটির মধ্যখানে অ্যাঙ্গেলের পাতি দিয়ে আটকে দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কষ্ট করে মোটরসাইকেলসহ পথচারীরা পারাপার হচ্ছেন। এভাবেই চলছে সাড়ে তিন বছর।
ফলে পণ্যবাহী ও ঢাকাগামী নাইটকোচ এবং আঞ্চলিক রুটের বাসগুলো আগের মতো ৫০ কিলোমিটার ঘুরে কুড়িগ্রাম শহর হয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এ জন্য পিছিয়ে পড়েছে উত্তর ধরলার ছোট-বড় সব ধরনের ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া অতিরিক্ত খরচ দিয়ে নিয়ে আসতে হচ্ছে পণ্য।
মেসার্স রুমা স্টিল জোনের নুরুজ্জামান ও জেএম পেপার হাউসের মালিক জাহাঙ্গীর আলম জানান, লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাটে রতনাই নদীর ওপর বেইলি ব্রিজ অনেক পুরনো ও জরাজীর্ণ । সেটি নতুন করে নির্মাণ না হওয়ার কারণে শেখ হাসিনা ধরলা সেতুর সুফল থেকে আমরা ব্যবসায়ীরা বঞ্চিত। ঢাকা, রংপুর ও লালমনিরহাট জেলা শহর থেকে পণ্য আনা-নেওয়া করতে পারছি না। এ জন্য আমরা অর্থনৈতিকভাবে এখনও পিছিয়ে রয়েছি।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সরকার জানান, কুলাঘাটে রতনাই নদীর ওপর বেইলি ব্রিজটির নির্মাণ করা জরুরি। এ জন্য লালমনিরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগে একাধিকবার বলা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত নির্মাণের ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়