৪০ বছরেও রাজউকের টাকা দেয়নি গুলশান উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ

১৯৮১ সালে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) থেকে দুটি প্লট বরাদ্দ নিয়ে কিস্তির টাকা এখনও পরিশোধ করতে পারেনি গুলশান মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। বরাদ্দ পাওয়া প্লট দুটির চার কিস্তির মধ্যে মাত্র প্রথম কিস্তি পরিশোধ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে সংকটের কারণেই তারা টাকাটা পরিশোধ করতে পারছে না। এদিকে বিলম্ব ফিসহ বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯০ লাখ টাকার মতো। সুদসহ সব কিস্তির অর্থ পরিশোধ করতে রাজউক থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষকে আবারও চিঠি দেওয়া হয়েছে।

রাজউক পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-১) জানান, গুলশান আবাসিক এলাকার স্কুলের জন্য নির্ধারিত অবরাদ্দকৃত ২টি প্লট রয়েছে। একটির আয়তন ২ বিঘা ১৫ কাঠা ১৪ ছটাক এবং অন্যটি ৫ বিঘা ১৮ কাঠা ৮ ছটাক। ১৯৭৩ সালের ৬ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়েকে এ প্লটের মূল্য পরিশোধ করে স্কুলনির্মাণের কাজ শুরু করু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পূর্ত মন্ত্রণালয় বরাবর অনুরোধ করার চিঠি দেওয়া হয়।

১৯৮১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর গুলশান মডেল হাই স্কুল কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে  গুলশান আবাসিক এলাকার ৮৬ নং রাস্তার ৫ বিঘা ১৬ কাঠা আয়তনের ৯/এ ও ১/এ নং প্লট দুটি বরাদ্দ দেয়। তখন প্রতি বিঘা জমির দাম ধরা হয় পাঁচ লাখ টাকা। চার কিস্তিতে পুরো টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি প্রথম কিস্তির পর আর টাকা দেয়নি।  

১৯৮৯ সালের ১২ আগস্ট সময় বাড়ায় রাজউক। পাশাপাশি কিস্তি পরিশোধ করে লিজ দলিল রেজিস্ট্রি করার অনুরোধও করে। কিন্তু ওই সময়কার স্কুল কর্তৃপক্ষ সেটাও করেনি। ১৯৯০ সালের ১৪ মার্চ আবার সময় বাড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়।

এর মাঝে স্কুল কর্তৃপক্ষ বারবার বকেয়া মওকুফের আবেদন জানায়। কিন্তু সেটা সম্ভব নয় নয় জানিয়ে দেয় রাজউক। ১৯৯০ সালের ১৯ নভেম্বর সময় বাড়ানো হয় আরেকদফায়।

সর্বশেষ ২০২০ সালের ৪ মার্চ স্থানীয় সংসদ সদস্য আকবার হোসেন পাঠান বিলম্ব ফি মওকুফের অনুরোধ করে আধা সরকারি চিঠি পাঠান রাজউকে। তাতে কর্তৃপক্ষ রাজি না হওয়ায় স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষক বকেয়া কিস্তির টাকা ও এর ওপর ৯ শতাংশ সুদ ধরে লিজ দলিল রেজিস্ট্রি করার আবেদন করেন। তাতেও রাজি হয়নি রাজউক।

জানতে চাইলে রাজউক চেয়ারম্যান এবিএম আমিন উল্লা নূরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রাজউক আইন অনুযায়ী চলে। এক্ষেত্রে কিছু মওকুফের সুযোগ নেই।’

জানতে চাইলে গুলশান মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ এম. মুস্তাফা জামান মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘স্কুলের অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে দীর্ঘদিন বকেয়া পরিশোধ করতে পারিনি। অতীতের কমিটিও পরিশোধে ব্যর্থ হয়। এখন স্কুলের ৫০ লাখ টাকার এফডিআর আছে। সেই অর্থ ও ব্যাংক লোনসহ বিভিন্নভাবে আমরা বকেয়া পরিশোধের চেষ্টা করছি। এ নিয়ে আজও (২ সেপ্টেম্বর) মিটিং করেছি।’
এই বিভাগের আরও খবর
চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস

চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস

নয়া দিগন্ত
তিন বিদেশি শক্তি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে কাজ করেছিল: জিএম কাদের

তিন বিদেশি শক্তি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে কাজ করেছিল: জিএম কাদের

মানবজমিন
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু

ভোরের কাগজ
তাপমাত্রা নিয়ে যে ভয়াবহ দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অফিস

তাপমাত্রা নিয়ে যে ভয়াবহ দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অফিস

জনকণ্ঠ
উপজেলা নির্বাচনে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হবে: সিইসি

উপজেলা নির্বাচনে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হবে: সিইসি

জনকণ্ঠ
খুলনা বিভাগ ও ৬ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ

খুলনা বিভাগ ও ৬ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ

নয়া দিগন্ত
ট্রেন্ডিং
  • ভালোবাসা দিবসে পরী মনির ‘বুকিং’

  • নির্বাচনের আগে পাকিস্তানে জোড়া বিস্ফোরণে নিহত ২৮

  • ভিসা পদ্ধতি পুরোপুরি তুলে নিলো যে দেশ

  • শন্তিপূর্ণভাবে মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা করেছি: প্রধানমন্ত্রী

  • ২০৩৫ সালের মধ্যে চীনের পারমাণবিক অস্ত্র বাড়বে তিন গুণ

  • তানজানিয়ায় প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৯

  • ব্যাংকে ৫ কোটি টাকার বেশি থাকলে বেশি কর

  • কাতার বিশ্বকাপে ফিরছে জিদানের সেই ভাস্কর্য

  • ইন্দোনেশিয়ার নিষেধাজ্ঞায় তেলের মূল্য আকাশছোঁয়া

  • অবিশ্বাস্য কীর্তিতে হাজার রানের ক্লাবে এনামুল বিজয়