২০২১ সালের মধ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তা সঠিক ভাবে অর্জন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক।
গত বুধবার রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানির লক্ষ্যের বদলে মূল্য সংযোজন বাড়ানোর লক্ষ্যের উপর জোর দান করেন। এতে করে দেশের সার্বিক উন্নতি হবে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।
বিজিএমইএ বর্তমান সভাপতি বলেন, বিশ্ববাজার এমন একটি অবস্থায় বর্তমানে আছে যেখানে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) পূর্বাভাসে ভোগব্যয় ১ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ১ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন-
“এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারব না যে ২০২১ সালে আমরা ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করব।”
রুবানা হক আরো বলেন, “২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধ্বসের সময় আমাদের এই খাত থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির ডাক দেওয়া হয়েছিল। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য এমন কথা বলতে হয়, অনুপ্রেরণার জন্য এটা হতে পারে।
দ্বিমত প্রকাশ করে তিনি বলেন-
“৫০ বিলিয়ন ডলারের টার্গেটের সাথে আমি একেবারেই একমত নই।”
রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যের চেয়ে মূল্য সংযোজন বৃদ্ধির উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, মূল্যসংযোজন না হওয়ার কারণেই পোশাক খাতের আয় মোট রপ্তানির ৮০ শতাংশের বেশি হওয়ার পরও জিডিপিতে অবদান মাত্র ১১ শতাংশ।
গত পাঁচ মাসে পোশাক রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৮ শতাংশ কমার তথ্য উল্লেখ করেন রুবানা। তিনি বলেন,
“পোশাক শিল্প ক্রান্তিকালে পৌঁছেছে- এটাই স্বাভাবিক। যখন একটি দেশ আস্তে আস্তে ম্যানুফ্যাচারিং থেকে পরের ধাপে যায়।
“কিন্তু ব্যবসাকে বহুমূখীকরণের জন্য যে ধরনের পরিকল্পনা দরকার তা আমাদের আছে কি না ভাবতে হবে। অথবা ব্যবসার পরের ধাপে যাওয়ার জন্য আমাদের উদ্যোক্তারা প্রস্তুত কি না সেটাও ভাবতে হবে।”
রানা প্লাজা বিপর্যয়ের ছয় বছরে অগ্নিনিরাপত্তার জন্য ১৫০ কোটি ডলার ব্যয় হয়েছে জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি হতাশা প্রকাশ করে বলেন,
“বিল্ডিং কোড আজ পর্যন্ত সংশোধন করতে পারিনি, শুধুমাত্র নিজেদের ঝগড়াঝাঁটির কারণে।”
‘স্টাডি অন সাপ্লাই চেইন রেজিলিয়্যান্স অব আরএমজি সেক্টর ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. জিয়াউল হক মামুন এবং অধ্যাপক ড. মইনুল হাসান।
এতে জানানো হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ৬ষ্ঠতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশ। জলবাযু পরিবর্তনের কারণে বা বড় ধরনের কোনো ভূমিকম্প হলে রপ্তানির একমাত্র বন্দর চট্টগ্রামের দীর্ঘ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেলে বিকল্প কোনো পথ নেই।
তাই অর্থনীতি ও বাণিজ্য নিরাপদ রাখতে বন্দরের সঙ্গে বিকল্প যোগাযোগ অথবা চট্টগ্রাম বন্দরের বিকল্প আরও বন্দর নির্মাণের সুপারিশ করা হয়।
ন্যাশনাল রেজিলিয়েন্স প্রোগ্রাম (এনআরপি) এবং পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগ আয়োজিত এ কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বক্তব্য দেন।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়