২০১৮ সালে দুই বছরের চুক্তিতে বাংলাদেশের কোচ হয়ে এসেছিলেন ইংলিশ কোচ স্টিভ রোডস। কিন্তু মেয়াদ পূর্ণ করার ১১ মাস আগেই চাকরি ছাড়তে হয়েছে। সাকিব-তামিমদের কোচের দায়িত্ব ছেড়ে অনেকটা নীরবেই চলে যেতে হয়েছে ক্রিকেট কোচিংয়ে ভদ্রলোক হিসেবে পরিচিত রোডসকে।
দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর এতদিন বিষয়টি নিয়ে কিছু বলেননি স্টিভ রোডস। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের তরফে কিছু খোলাসা করা না হলেও ইংলিশ এ কোচকে সরিয়ে দেওয়ার পেছনে বারবার উপস্থাপন করা হচ্ছিল ২০১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেমিফাইনালে খেলতে না পারার ব্যর্থতাকে।
তবে সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পরামর্শক হিসেবে আসা স্টিভ রোডস সম্প্রতি ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ২০১৯ বিশ্বকাপ ব্যর্থতার তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন।
বিসিবির সিদ্ধান্তে বিস্মিত হলেও অবাক হননি স্টিভ রোডস। তিনি বলেন, বিশ্বকাপে দল হিসেবে তৈরি হতে আয়ারল্যান্ডে আমাদের একটি দুর্দান্ত টুর্নামেন্ট ছিল। আমরা ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতেছি। বিশ্বকাপের মঞ্চেও প্রায় অর্ধেকের বেশি ম্যাচ জিতেছিলাম। শুধু পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি ছাড়া টুর্নামেন্টে আমরা খারাপ করিনি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং ইন্ডিয়ার বিপক্ষে জিততে না পারলেও ভালো রান পেয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছি আমরা। এ ছাড়া নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দারুণ জয় পেয়েছিলাম। তবে সবচেয়ে বড় জয় এসেছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
এ ছাড়া পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলেছে সাকিব। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লিটন দাসের ইনিংসও দারুণ ছিল। পাশাপাশি সাইফউদ্দিনরাও নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ রেখেছে। তবে ভদ্রলোক হিসেবে পরিচিত স্টিভ রোডস বলেন, আমাকে সরিয়ে দেওয়ার পেছনে যখন বিশ্বকাপের বাজে পারফরম্যান্সকে দাঁড় করানো হয়, তখন হতাশা কাজ করে। এটা কখনোই সত্যি নয়। অন্য কারণ থাকতে পারে। কিন্তু আপনি তো আপনার নিয়োগকর্তাকে বলতে পারবেন না যে আপনাকে কেন সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
তবে বিশ্বকাপের পর মনে হচ্ছিল একটা পরিবর্তন হতে পারে। কাউকে না কাউকে বলির পাঠা বানানো হতে পারে। আর রোডসকেই সেটা হতে হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের একজন কোচ হিসেবে কাজ করতে হলে এটাই চলতে থাকবে। বিশ্বকাপে দলের ব্যর্থতায় দল পুনর্গঠন না করে কোচ বিদায় করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কতোটা যৌক্তিক ছিল, সে প্রশ্নও রাখলেন রোডস।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ১৫ বছর আগের জায়গায় রয়ে গেছে বলে এবার ঢাকায় এসে শুনেছেন স্টিভ রোডস। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। এখানকার মানুষ আমাকে বলছে, ১৫ বছর আগের জায়গাতেই আছে বাংলাদেশ দল। এটা সম্ভবত সত্য। সেরা চারে থাকতে চায়। উন্নতির ওপর ফোকাস করা উচিত। বোর্ড এবং সমর্থকদের এটা বুঝতে হবে।
এদিকে বাংলাদেশ ছাড়লেও এখনো এ দেশের ক্রিকেটের ওপর নজর রাখেন স্টিভ রোডস। দেশের চার পাণ্ডবকে নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটে সাকিব, রিয়াদ, মুশফিক ও তামিমদের এখনো অনেক খেলার বাকি। তাদের অনেক অভিজ্ঞতাও রয়েছে। এছাড়া তারা প্রত্যেকেই ভালো ক্রিকেটার।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়