বিশ্বকাপে ব্যর্থতায় কারণ খুঁজে বের করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বিসিবির পক্ষ থেকে। জাতীয় দলের কোচিং স্টাফ বা খেলোয়াড়দের সঙ্গেও বসেননি সংশ্লিষ্টরা। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বা ম্যানেজার রাবীদ ইমামের কাছে চাওয়া হয়নি রিপোর্ট। এমনকি কোনো তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়নি। তবে কি বিতর্ক চাপা দিতে বিসিবির এই নীরবতা?
কিছু সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হতে পারে বলেও জানান তারা। দেশের ক্রিকেট পাড়ার গুঞ্জন– বিশ্বকাপ ব্যর্থতার দায় চাপানো হবে নির্বাচক প্যানেলের ওপর। মিনহাজুল আবেদীন নান্নু-হাবিবুল বাশারদের জায়গায় নতুন মুখের খোঁজ করা হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, বিশ্বকাপে ব্যর্থতার দায় শুধুই কি জাতীয় দল নির্বাচকদের? যাদের কথায় ক্রিকেট চলে, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নিয়োগ দেওয়া বিদেশি কোচিং স্টাফ বা ক্রিকেটাররা কি দায় এড়াতে পারেন?
বাংলাদেশ ক্রিকেটাঙ্গানের সবাই জানে, জাতীয় দল নির্বাচকদের হাত-পা বাঁধা। বিসিবি সভাপতি বা প্রভাবশালী পরিচালকদের কথা ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না তারা। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের অনুমোদন ছাড়া দল চূড়ান্ত হয় না। সে দেশে বিশ্বকাপ ব্যর্থতার দায় শুধু নির্বাচদের ওপর দেওয়ার সুযোগ থাকে না। তাই বলে নির্বাচকদের কোনো দায় নেই তা অবশ্য নয়। বিশ্বকাপের আগে পর্যাপ্ত সংখ্যক বিকল্প ক্রিকেটার প্রস্তুত করতে না পারা বড় ব্যর্থতা। তামিম ইকবাল চোটে পড়ার পর একাধিক বিকল্প ওপেনার খুঁজে নিতে না পরা নির্বাচকদের অদূরদর্শিতা।
যদিও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান দল নির্বাচনে ভুল দেখেন না। তিনি আঙুল তুলেছেন বিশ্বকাপের ছয় মাস আগে কোচ আর ১৫ দিন আগে অধিনায়ক পরিবর্তন ইস্যুতে। নেদারল্যান্ডসের কাছে হারের পর কলকাতার সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেছেন, ‘কোনো দলে কোচ এবং অধিনায়ক পরিবর্তন করা হলে নতুন কিছু খেলোয়াড় যোগ হয় দলে। এটাই স্বাভাবিক। ছয় মাস আগে কোচ এবং টুর্নামেন্টের ঠিক আগে অধিনায়ক পরিবর্তন করায় তেমন কিছু পরিবর্তন হয়েছে। মাঠের পারফরম্যান্সেও হয়তো সে প্রভাব দেখতে পাচ্ছেন।’
সাকিবের কথা আমলে নেওয়া হলে বিশ্বকাপে ব্যর্থতার দায়ভার বর্তায় দেশের ক্রিকেটের নীতিনির্ধারকদের ওপর। যদিও তারা উদ্যোগী হয়েছেন নিজেদের দায় অন্যের ওপর চাপাতে। যে নির্বাচক কমিটির মেয়াদ শেষ ৩১ ডিসেম্বর, তাদের অপবাদ দেওয়ার সুযোগ আসলে থাকে না। চুক্তি নবায়ন না করলেই হলো।
বিসিবি জাতীয় দলে নির্বাচক নিয়োগ দেয় সাবেক অধিনায়কদের মধ্য থেকে। আব্দুর রাজ্জাক ছাড়া অন্য দুই নির্বাচক জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। নির্বাচক প্যানেলে পরিবর্তন আনতে হলে এই কাজে উপযুক্ত সাবেক অধিনায়ক খুঁজে পেতে হবে। বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ যেখানে ঘাটতি দেখছে। সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ পুরোনো দায়িত্বে ফিরতে রাজি নন। আকরাম খান, নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও খালেদ মাহমুদ সুজন বিসিবির নির্বাচিত পরিচালক। রাজিন সালেহ কোচিং করান। মোহাম্মদ আশরাফুলকে নিয়ে আপত্তি আছে ক্রিকেটারদের। সে ক্ষেত্রে অধিনায়ক নীতি থেকে সরে এলে ভালো নির্বাচক পাওয়া সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়