মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন দেশের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। তাদের সংগঠিত করে যুদ্ধে পাঠানোর কাজ করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকরা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরি করে রাষ্ট্রীয়ভাবে বেশকিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। কিন্তু যারা সংগঠক হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ করেছিলেন তাদের ব্যাপারে রাষ্ট্র কোনো উদ্যোগই নেয়নি। তেমনি মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বাধীনতার ৫০ বছরেও স্বীকৃতি পাননি জামালপুর জেলার তৎকালীন মাদারগঞ্জ থানার মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মাদারগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তৎকালীন জাতীয় পরিষদের সংসদ সদস্য করিমুজ্জামান তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন তালুকদার। তারা দুজনই মৃত্যুবরণ করেছেন। কিন্তু তাদের পরিবার তাদের স্বীকৃতি চায়। তাদের পরিবারের সদস্যরা জানান, ১৯৫৪ সালে মাদারগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠিত হয়। এতে সভাপতি নির্বাচিত হন করিমুজ্জামান তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন রফিক উদ্দিন তালুকদার।
তাদের গঠিত কমিটি ১৯৬১ সালে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা, ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যূঙ্খান সফল হয়। ধারাবাহিক এই রাজনৈতিক কার্যক্রম কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দের নজরে আসে। সে কারণে ৭০ এর নির্বাচনে মাদারগঞ্জ - মেলান্দহ আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান করিমুজ্জামান তালুকদার। এই নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে জাতীয় পরিষদের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৭১ সালে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের জনসভায় উপস্থিত ছিলেন করিমুজ্জামান তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন তালুকদার। তারা দুজন জনসভা থেকে ফিরে এসে জামালপুর মহকুমা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আব্দুল হাকিম এমপির সভাপতিত্বে এডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদারকে আহবায়ক ও রেজাউল করিম হীরাকে যুগ্মআহবায়ক করে ৫১ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়