অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ দেখা যাচ্ছে না: টিআইবি

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, তফসিল ঘোষণার আগে ও পরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এ পর্যবেক্ষণে আমাদের ধারণা হচ্ছে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ বলতে যা বোঝায়, তা আমরা এবারো দেখতে পাচ্ছি না।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ধানমন্ডির টিআইবি কার্যালয়ে আয়োজিত ‘গণতন্ত্র, সুশাসন ও শুদ্ধাচার চর্চার রাজনৈতিক অঙ্গীকার: টিআইবির সুপারিশমালা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, হয়তো এই নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে ক্ষমতায় কারা অধিষ্ঠিত থাকবেন সেটিও নির্ধারণ করার সুযোগ হবে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে জনগণের ভোটের অধিকারের যে নির্বাচন সেটি নিশ্চিত করা যাবে না। এই নির্বাচনের ওপর জনগণের আস্থা বা ভোটের ওপর জনগণের আস্থা নিশ্চিত করা অসম্ভব হবে বলে মনে করি।

প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বে বহাল থাকায় নির্বাচনে দলীয় বিষয়গুলো বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, যখন একটি দল ক্ষমতায় নির্বাচিত হয়, সেই দলটি দেশের সরকার হিসেবে নির্বাচিত হয়। তখন সেই সরকার আর কোনো দলের সরকার থাকে না। কিন্তু সেই সরকারের প্রধান যদি স্বপ্রণোদিতভাবে দলীয় নেতৃত্বের অবস্থান থেকে পদত্যাগ করেন, তাহলে প্রতীকী অর্থে হলেও সবার সরকারপ্রধান হিসেবে বা সব দলের সরকার হিসেবে নিজেকে তার ভূমিকা রাখা সম্ভব হয়। সংসদের স্পিকারের ক্ষেত্রেও একই কথা। স্পিকার যখন নির্বাচিত হন তখন আর কোনো দলের প্রতিনিধি থাকেন না। তখন তিনি সব এমপির স্পিকার।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশ একটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ থেকে পরবর্তী ৫২ বছরে দারিদ্র বিমোচন, অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প, তথ্য-প্রযুক্তি ও আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। তবে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। স্বাধীনতার পরে বিভিন্ন সময়ে অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করেছে। দীর্ঘ আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৯১ সালে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে প্রধান তিনটি রাজনৈতিক জোট দ্বারা একটি রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়। রূপরেখায় স্বাক্ষর করার মাধ্যমে প্রধান তিনটি রাজনৈতিক জোট অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ শাসনের দায়িত্ব গ্রহণ, সার্বভৌম সংসদ গঠন, জবাবদিহিমূলক নির্বাহী বিভাগ প্রতিষ্ঠা, জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্য আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেছিল। পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ চর্চার ঘাটতির ফলে বারবার গণতান্ত্রিক পথ থেকে বিচ্যুতি ও নির্বাচনকালীন সহিংসতার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
এই বিভাগের আরও খবর
পাগলা মসজিদে এ পর্যন্ত কত টাকা জমা হলো, কোথায় ও কীভাবে খরচ হয়

পাগলা মসজিদে এ পর্যন্ত কত টাকা জমা হলো, কোথায় ও কীভাবে খরচ হয়

প্রথমআলো
থানা থেকে লুণ্ঠিত অস্ত্র দিয়ে মহাসড়কে ‘প্রেমিকাকে’ গুলি করে হত্যা: এসপি

থানা থেকে লুণ্ঠিত অস্ত্র দিয়ে মহাসড়কে ‘প্রেমিকাকে’ গুলি করে হত্যা: এসপি

বাংলা ট্রিবিউন
৫৪ ধারাকে অপব্যবহারযোগ্য আইনের বিধান মনে করেন ৮২.৫ শতাংশ মানুষ

৫৪ ধারাকে অপব্যবহারযোগ্য আইনের বিধান মনে করেন ৮২.৫ শতাংশ মানুষ

নয়া দিগন্ত
টঙ্গীতে ‘কামু বাহিনী’র প্রধান কামরুল ইসলাম গ্রেপ্তার

টঙ্গীতে ‘কামু বাহিনী’র প্রধান কামরুল ইসলাম গ্রেপ্তার

প্রথমআলো
চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের তারিখ ঘোষণা করলো ইসি

চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের তারিখ ঘোষণা করলো ইসি

ভোরের কাগজ
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২২ জন

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২২ জন

বাংলা ট্রিবিউন
ট্রেন্ডিং
  • সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে 'বস্তায় বস্তায় ঘুষ' নেওয়ার অভিযোগ: দুদকের অনুসন্ধান শুরু

  • ভালোবাসা দিবসে পরী মনির ‘বুকিং’

  • নির্বাচনের আগে পাকিস্তানে জোড়া বিস্ফোরণে নিহত ২৮

  • ভিসা পদ্ধতি পুরোপুরি তুলে নিলো যে দেশ

  • শন্তিপূর্ণভাবে মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা করেছি: প্রধানমন্ত্রী

  • ২০৩৫ সালের মধ্যে চীনের পারমাণবিক অস্ত্র বাড়বে তিন গুণ

  • তানজানিয়ায় প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৯

  • ব্যাংকে ৫ কোটি টাকার বেশি থাকলে বেশি কর

  • কাতার বিশ্বকাপে ফিরছে জিদানের সেই ভাস্কর্য

  • ইন্দোনেশিয়ার নিষেধাজ্ঞায় তেলের মূল্য আকাশছোঁয়া