শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) নিষিদ্ধ ঘোষিত এ জঙ্গি সংগঠনের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।
গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে জঙ্গি কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত নয়টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।
গ্রেফতার হুজি সদস্যরা হলেন- মো. ফখরুল ইসলাম (৫৮), মো. সাইফুল ইসলাম (২৪), মো. সুরুজ্জামান (৪৫), হাফেজ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৩), মো. দীন ইসলাম (২৫) এবং মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪৬)।
তিনি জানান, গ্রেফতার ব্যক্তিরা টেলিগ্রাম গ্রুপের মাধ্যমে সক্রিয় থেকে উগ্রবাদী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। তাদের অন্য সহযোগীদের সঙ্গে মিলে উগ্রবাদী ও আক্রমণাত্মক ভিডিও ও তথ্য শেয়ার এবং নিজেদের মধ্যে গোপন তথ্য দেয়া-নেয়া করত। তারা ওই গ্রুপে উগ্রবাদী ও আক্রমণাত্মক প্রশিক্ষণের বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি সচিত্র প্রশিক্ষণ ডকুমেন্টস (পিডিএফ, ভিডিও, অডিও) দেয়া-নেয়া করতো।
নতুন করে অস্তিত্ব জানান দিতে সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে সদস্য সংগ্রহ করার উদ্দেশে টার্গেট করা হচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প। এরই মধ্যে ক্যাম্প থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে কিছু সদস্য। মোটা অংকের অনুদান দিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সদস্য সংগ্রহ করছে সংগঠনটি।
পুলিশ জানায়, বাংলাদেশে বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা ছিল সংগঠনটির। সেই লক্ষ্যে সদস্য সংগ্রহ করছিল সংগঠনটি। সদস্য সংগ্রহের সহজ মাধ্যম হিসেবে তারা বেছে নেয় রোহিঙ্গা ক্যাম্প। অর্থের প্রলোভনে রোহিঙ্গাদের জঙ্গি কাজে জড়িত করত তারা।
পুলিশ আরও জানায়, নিজেদের অস্তিত্ব আবারও জানান দিতে একত্রিত হচ্ছে। তবে এবার কৌশল কিছুটা আলাদা। বোমা তৈরিসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ তারা দিত অ্যাপের মাধ্যমে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়