সংঘাতপূর্ণ নাগোর্নো-কারাবাখ থেকে শত শত বাসিন্দা আশ্রয় নিচ্ছেন আর্মেনিয়ার বিভিন্ন শহরে। রেড ক্রস এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা তাদের সহায়তা করছে। যারা এখনো অঞ্চলটিতে রয়ে গেছেন, জাতিগত নির্মূলের শঙ্কায় দিন পার করছেন তারা।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট নাগোর্নো -কারাবাখের ওপর তার দেশের সার্বভৌমত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে ঘোষণা দেন। এ ঘোষণার পরপরই অঞ্চলটির জাতিগত আর্মেনীয় বাসিন্দারা তাদের নিজ দেশ আর্মেনিয়ায় ফিরতে শুরু করেন। রুশ শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা রোববার প্রথম ধাপে কয়েকশ বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়। এখনও হাজার হাজার মানুষ অঞ্চলটি ছাড়ার অপেক্ষায় আছেন।
এ বিষয়ে একজন বাসিন্দা জানান, ‘আমরা কোন রকমে বেঁচে গেছি। এটা খুবই ভীতিকর পরিস্থিতি ছিলো। চারদিক থেকে গোলাবর্ষণ হচ্ছিলো। আশপাশে মৃতদেহ পড়েছিলো।’
এক লাখ ২০ হাজার জাতিগত আর্মেনীয়র বাসস্থান বিচ্ছিন্ন এ অঞ্চলটির নেতারা জানিয়েছেন, তারা আজারবাইজানের অংশ হিসেবে থাকতে চান না। জাতিগত নির্মূলের শঙ্কায় দিন কাটছে তাদের।
এদিকে, আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা কারাবাখের বাসিন্দাদের গ্রহণ করতে প্রস্তুত।
তবে, আজারবাইজান বলছে, তারা নিজেদের নাগরিকদের ওপর হামলার পর কারাবাখ বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ বলেছেন, তার সেনাবাহিনী শুধুমাত্র কারাবাখ যোদ্ধাদের লক্ষ্যবস্তু করেছে, বেসামরিক নাগরিকদের বরং রক্ষা করেছে তারা।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) নাগোর্নো -কারাবাখে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান শুরু করে আজারবাইজান। যদিও একে জাতিগত আর্মেনীয়দের বিরুদ্ধে নিধন কার্যক্রম বলে অভিযোগ করে আর্মেনিয়া।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়