আকস্মিক উত্থানের মাধ্যমে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ায় তালেবান নিয়ে সারা বিশ্বে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়েছে। জঙ্গিবাদ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় ভুগছে প্রতিবেশী দেশগুলো। বিশেষত ওই দেশের পার্শ্ববর্তী ও আঞ্চলিকভাবে প্রভাবশালী পাকিস্তান, ভারত ও চীন অভূতপূর্ব ধাঁধায় পড়েছে। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের কথিত শান্তিচুক্তির পর থেকে ওই কট্টরপন্থিদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছে এই তিনটি দেশ। ওই গোষ্ঠীর উত্থানের নেপথ্যে ইসলামাবাদের সমর্থন থাকলেও এতে নিজ দেশে চরমপন্থা বিস্তারের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে উইঘুর ইস্যুর কারণে কৌশলগত সম্পর্কে এগোচ্ছে বেইজিং। তবে ভারতের ব্যাপারে বিরূপ মনোভাব দেখাচ্ছে তালেবান।
এমন পরিস্থিতিতে কট্টরপন্থিদের সঙ্গে এই তিন দেশের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করেছে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তাদের সঙ্গে তিন দেশের তিন রকম সম্পর্ক সত্ত্বেও ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত তারা। তালেবান নিয়ে সর্বদা সতর্ক পর্যবেক্ষণ করছে দেশ তিনটি। তবে ভূরাজনীতির অঙ্ক কষে এগোচ্ছে তারা।
আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহার শুরুর পর থেকে একের পর এক এলাকা দখল করে নেয় তালেবান। সর্বশেষ রোববার রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় ওই গোষ্ঠী। কার্যত এর মাধ্যমে ক্ষমতা নিরঙ্কুশ হয় তাদের। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যখন তাদের চুক্তি হয়, তখন থেকে মূলত ভারত ও চীন কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করে। তাতে বেইজিংয়ের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্কে সায় দিলেও দিল্লিকে 'না' বলে কট্টরপন্থিরা।
বিশ্লেষকদের মতে, ওই চুক্তি ও তালেবানের কূটনৈতিক তৎপরতা- ইসলামাবাদের সার্বিক সহযোগিতায় সম্পন্ন হয়েছে। কারণ এর মাধ্যমে দেশটিতে তালেবান ক্ষমতায় গেলে তা হবে সেখানে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ ভারতের কৌশলগত পরাজয়।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়