ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের সময় যুক্তরাষ্ট্র ও তার জোট ন্যাটোর সরবরাহ করা কিছু অস্ত্র ও সরঞ্জাম ইরানে পাঠাচ্ছে রাশিয়া। আর এসব অস্ত্র ও সরঞ্জাম নিজেদের মতো করে গড়ে নেয়ার চেষ্টা করছে ইরান। বিষয়টির সাথে সংশ্লিষ্ট চারটি সূত্রের সাথে আলাপ করে এ খবর প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো এবং পাশ্চাত্যের আরো কয়েকটি দেশের কর্মকর্তারা সিএনএনকে জানিয়েছেন, যুদ্ধের সময় ফেলে যেতে বাধ্য হওয়া ইউক্রেন বাহিনীর জ্যাভলিন ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, স্টিনগার বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রসহ ছোট ও কাঁধে বহনযোগ্য অস্ত্র রাশিয়া জব্দ করেছে।
রাশিয়া এগুলো অনেক সময়ই বিমানে করে ইরানে পাঠিয়ে দিয়েছে, যাতে ইরানি সামরিক বাহিনী এগুলো দেখে এ ধরনের অস্ত্র নিজেদের মতো করে নির্মাণ করে নিতে পারে। রাশিয়া মনে করে, জব্দ করা পাশ্চাত্যের অস্ত্র ইরানে পাঠানো হতে থাকলে তেহরান ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার প্রতি সমর্থন প্রদান অব্যাহত রাখবে।
অবশ্য মার্কিন কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন না যে এটি ব্যাপকভিত্তিতে হয়ে থাকে। কারণ যুদ্ধের শুরু থেকেই ইউক্রেন বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো অস্ত্র হারালে তা নিয়মিতভাবে পেন্টাগনকে অবহিত করে।
আর ইরান সফলভাবে মার্কিন অস্ত্র নকল করতে পেরেছে কিনা তাও নিশ্চিত নয়। তবে অতীতে জব্দ করা মার্কিন সরঞ্জামের ওপর ভিত্তি করে অত্যন্ত কার্যকর অস্ত্র নির্মাণে ইরান অনেকবারই সফল হয়েছে।
সেন্টার ফর এ নিউ আমেরিকান সিকিউরিটির মিডল ইস্ট নিরাপত্তা কর্মসূচির সিনিয়র ফেলো ও পরিচালক জোনাথন লর্ড বলেন, ইরান অতীতে মার্কিন অস্ত্র নকরল করতে দক্ষতা প্রদর্শন করেছে। তারা তারা টো ট্যাংক-বিধ্বংস গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র নকল করে নিজেদের তুফান ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ করেছে। এগুলো তারা পরে হাউছি ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের দিয়েছে। স্টিনগার ক্ষেপণাস্ত্র নিয়েও ইরান একই কাজ করতে পারে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়