শীতে বাতাসে ধুলাবালি অনেক বেড়ে যায়। আবার ঠাণ্ডার ভয়ে গোসল ও শ্যাম্পু করার প্রতিও অনীহা জন্মে। চুল পরিচর্যায়ও অলসতা পেয়ে বসে। ফলে চুল নির্জীব হয়ে পড়ে। শীতে সহজে চুল পরিষ্কার করার উপায় জানিয়েছেন বিন্দিয়া বিউটি কেয়ারের স্বত্বাধিকারী ও রূপ বিশেষজ্ঞ শারমিন কচি। লিখেছেন ফাতেমা ইয়াসমীন।
সঠিক উপায়ে শ্যাম্পু
চুল পরিষ্কারের খুব সাধারণ একটি উপায় শ্যাম্পু করা। চুলের ধরন বুঝে শ্যাম্পু করতে হবে। অনেকে চুল না ভিজিয়েই সরাসরি শ্যাম্পু মাথায় দিয়ে দেন, এটা ঠিক নয়। শ্যাম্পু করার আগে চুল পানিতে ভিজিয়ে নিতে হবে।
ভেজা চুলে শ্যাম্পু ভালো কাজ করে। আর শ্যাম্পু করার সময় চুলের গোড়ার দিক থেকে শুরু করতে হবে। অনেকের ধারণা, প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে চুল বেশি পরিষ্কার থাকে। এটি ভুল। এতে চুলের আরো ক্ষতি হয়। সবচেয়ে ভালো হয় সপ্তাহে দুই বা তিন দিন চুল শ্যাম্পু করা। তবে প্রতিদিন যদি শ্যাম্পু করার প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করাই ভালো।
কন্ডিশনার ব্যবহার
চুলের জন্য কন্ডিশনার খুব ভালো। শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার করলে খেয়াল রাখবেন যেন তা মাথার চামড়ার অংশে না লাগে। কন্ডিশনার চুলে শ্যাম্পুর ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। চুলের বর্ম হিসেবে কাজ করে। চুল ঝরঝরে ও কোমল থাকে। এমন চুলে সহজে ময়লা বসতে পারে না।
চুল আঁচড়ানো
অনেকে শীতে শ্যাম্পু করা একটা ঝামেলা মনে করেন। সে ক্ষেত্রে চুল পরিষ্কার রাখতে কিছু উপায় অবলম্বন করতে পারেন। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল ভালো করে আঁচড়ে নিন। গোসলের সময় অবশ্যই চুল পর্যাপ্ত পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। চুল পরিষ্কারে ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করতে হবে। গরম পানি চুলের জন্য ক্ষতিকর।
চুল ঢেকে বের হোন
শীতের আবহাওয়া বেশ রুক্ষ থাকে। এ সময় শুষ্ক বাতাসে বাইরে ধুলিবালির পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই বাইরে বের হওয়ার সময় চুল ঢেকে রাখতে হবে। মাথায় ওড়না, স্কার্ফ, টুপি ব্যবহার করতে পারেন। এতে বাতাসে উড়ে আসা ধুলাবালি থেকে চুল রক্ষা পাবে। ময়লা কম হবে।
তেলের বদল ক্রিম
শীতকালে তেল ব্যবহার করলে চুলে ধুলাবালি বেশি জমে। চুলে দ্রুত ময়লা জন্মে। তাই তেলের বদলে হেয়ার ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। যত কম পারা যায় চুলে হাত কম দেবেন, এতে চুল কম ময়লা হবে। চুল যত কম ময়লা হবে ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা তত কম হবে।
শ্যাম্পুর বিকল্প
চুলে শ্যাম্পু করতে না চাইলে ১০-১৫টি গ্রিন-টি ব্যাগ পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুল পরিষ্কারের পাশাপাশি ঝরঝরে থাকবে। সপ্তাহে এক দিন সোডা দিয়েও চুল পরিষ্কার করতে পারেন। চুল ভেজানোর পর সোডা মেখে পাঁচ-সাত মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল নরম হয়, খুশকি দূর হয়। শীতকালে খুশকির সমস্যা বেড়ে যায়। তাই চুল ধোয়ার সময় এক মগ পানিতে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে মাথায় দিতে পারেন। এতে খুশকির সমস্যা দূর হবে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়