বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশনাকে কেন্দ্র করে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এজলাস ত্যাগ করেন দুই বিচারপতি। দুপুর আড়াইটার দিকে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এজলাসে প্রবেশ করেন। এরপর বিচার কার্যক্রম ফের শুরু হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে ১টা ১০ মিনিট পর্যন্ত দেড় ঘণ্টা বিচার কার্যক্রম বন্ধ ছিলো। বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা ১টা ১০ মিনিট পর্যন্ত অবস্থান করে এজলাস ত্যাগ করেন। এর আগে গতকাল বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতির প্রতি অনাস্থার বিষয়টি প্রধান বিচারপতি বরাবর দাখিল করেন। আজ সকালে শুরুতেই সাবেক এটর্নি জেনারেল ও বিএনপি সমর্থক আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী এজলাসের ডায়াসে দাঁড়িয়ে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারককে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার প্রতি আমাদের অনাস্থার বিষয়টি প্রধান বিচারপতি বরাবর দিয়েছি। এই অবস্থায় আপনি কোনো আদেশ দিতে পারেন না। রুহুল কুদ্দুস কাজল হাইকোর্ট বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতির উদ্দেশে বলেন, আপনি ইনজাস্টিস করছেন। পরে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আদালতকে বলেন, আপনি বিচার বিভাগে অরাজকতা সৃষ্টি করছেন। এ সময় আইনজীবী গাজী কামরুল ইসলাম সজল ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের একটি ছবি সম্বলিত প্রতিবেদন আদালতে প্রদর্শন করেন।
ওই ছবি দেখিয়ে তিনি বলেন, একজন বিচারপতি আদালতের দরজায় লাথি মারছেন। যিনি লাথি মারছেন তিনি এই আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি। এরই মধ্যে হাইকোর্ট তারেক রহমানের সাম্প্রতিক দেয়া সব বক্তব্য অনলাইন থেকে সরানোর জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-কে নির্দেশ দেন। এসময় বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা ‘শেইম’ ‘শেইম’ বলে চিৎকার করেন। এছাড়া বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে তারা বলেন, ‘আপনি অবিচার করতে পারেন না। এভাবে চলতে থাকে হট্টগোল। একপর্যায়ে আদালতের দুই বিচারপতি এজলাস ছেড়ে খাস কামরায় চলে যায়।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়