প্রতিবছরের মতো এ বছরও অনুষ্ঠিত হয়েছে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস বা অস্কার পুরস্কার। জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে তুলে দেওয়া হয় সেরা অভিনেতা-অভিনেত্রীর পদক। পুরস্কার ঘোষণার পর কে পদক পেলেন আর কে পেলেন না, তা নিয়ে প্রতিবারই চলে চুলচেরা বিশ্লেষণ। তবে এ বছর ঘটেছে ব্যতিক্রম। সবকিছু ছাপিয়ে এখন শুধুই আলোচনা চলছে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পাওয়া উইল স্মিথের চড়কাণ্ড নিয়ে।
দীর্ঘদিন ধরে এলোপেসিয়া রোগে আক্রান্ত অভিনেতা উইল স্মিথের স্ত্রী জাডা স্মিথ। অস্কারে চড়কাণ্ডের পর সেরা পুরস্কারের পদকতালিকা থেকেও এখন বেশি আলোচনা হচ্ছে এই এলোপেসিয়া অসুখ নিয়ে।
জার্নাল অব দ্য এমিরিকান অ্যাকাডেমি অব দ্য ডার্মিটোলজির মতে, এলোপেসিয়া হলে হঠাৎ মাথা বা শরীরের কোনো বিশেষ অংশের চুল পড়ে যায়। মূলত এ সমস্যাকে মেডিকেলের ভাষায় এলোপেসিয়া এরিয়েটা বলে। ত্বকের যে হেয়ার ফলিকল থেকে চুল গজায়, সেখানে বিশেষ অটোইমিউন রোগের জন্য মানুষের চুল পড়ে যায় এবং নতুন চুল গজানো বন্ধ হয়ে গেলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।
এই রোগটি কেন হয়? এ প্রসঙ্গে মেডিকেল সায়েন্সের বিভিন্ন জার্নাল থেকে জানা যায়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এ রোগের উৎপত্তিতে বংশগতির প্রভাব রয়েছে। ১০-২০ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগের পারিবারিক ইতিহাস থাকে। আক্রান্ত হওয়ার পর বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ছোট ছোট বৃত্তাকার এলাকার চুল উঠে যায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনেক বেশি চুল পড়ে যায়; যেমন পুরো মাথা বা শরীরের চুল পড়ে যাওয়া। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবারই এ রোগ হতে পারে।
এ রোগে চুল পড়া ছাড়া সাধারণত অন্য কোনো সমস্যা; যেমন চুলকানি বা ব্যথা অনুভূত হয় না। এলোপেসিয়া রোগের সঙ্গে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ অটোইমিউন রোগের যোগাযোগ রয়েছে। যেমন শ্বেতি, থাইরয়েড গ্রন্থির কিছু রোগ, ডায়াবেটিস, ডাউন সিন্ড্রম, এটপিক ডার্মাটাইটিস ইত্যাদি।
এ রোগের চিকিৎসা প্রসঙ্গে নিউইয়র্কের ডার্মিটোলজিস্ট ডিনা স্ট্রেচেন বলেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে চিকিৎসা ছাড়াই এসব স্থানে চুল গজাতে পারে, তবে কত দিন পর চুল ফিরে আসবে অথবা আদৌ চুল গজাবে কি না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এই পুনর্জন্মানো চুল বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আবার পড়ে যায়। চুল গজানোর এ বিষয়গুলো ব্যক্তিবিশেষে তারতম্য ঘটতে পারে। ডার্মাটোলজিস্ট বা চর্ম রোগ বিশেষজ্ঞরা সহজেই এ রোগ নির্ণয় করতে পারেন, তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফাঙাশের জন্য স্কিন স্ক্যাপিং অথবা বায়োপসি প্রয়োজন হতে পারে। চিকিৎসকরা এ রোগে কর্টিকোস্টেরয়েড, টেক্রোলিমাস অথবা পাইমেক্রোলিমাস মলম, টার বা এন্থ্রালিন মলম, মিনক্সিডল স্পে, ফটোথেরাপি, সাইক্লস্পোরিন, মেথট্রেক্সেট ইত্যাদি ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়