কাঁচামালের ব্যবহার কমলেও বাড়ছে পোশাক রফতানি

পশ্চিমা বাজারে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে। পোশাক পণ্যের নতুন ক্রয়াদেশের আভাস পাওয়া গেলেও বাংলাদেশের বেশির ভাগ পোশাক কারখানায়ই বর্তমানে কাজের সংকট। ব্যবহার হচ্ছে না পূর্ণ সক্ষমতা। কমে গেছে কাঁচামালের ব্যবহার। এর পরও সরকারের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, অর্থমূল্য বিবেচনায় পোশাক পণ্য রফতানিতে দুই অংকের প্রবৃদ্ধি।

পোশাক রফতানিকারকরা বলছেন, ক্রয়াদেশ পরিস্থিতি খুবই নাজুক। কাজ সংকটের কথা বলছেন রফতানিসংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তা ও পরিবহনবিষয়ক অংশীজনরা। পোশাক পণ্যের বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরাও জানিয়েছেন, দুই অংকের প্রবৃদ্ধি হওয়ার মতো ক্রয়াদেশ তাদের হাতে নেই। এমন বাস্তবতায় রফতানিকারকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রশ্ন—স্বল্প ক্রয়াদেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পোশাক পণ্যের রফতানি প্রবৃদ্ধিতে তাহলে ভূমিকা রাখছেন কারা? 

ক্রয়াদেশ সংকটের সপক্ষে তথ্যানুসন্ধানে কারখানায় সুতা-কাপড়সহ পোশাকের কাঁচামাল ব্যবহার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে বণিক বার্তা। সংগ্রহ করা হয়েছে কাঁচামাল ব্যবহারের অনুমোদিত নথি ইউটিলাইজেশন ডিক্লারেশনের (ইউডি) তথ্যও। পোশাক পণ্য প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ সূত্রে পাওয়া ইউডিতেও মিলছে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক জুলাই-সেপ্টেম্বরে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে কারখানাগুলোকে দেয়া ইউডির অর্থমূল্য ছিল ৬৯৪ কোটি ৪৯ লাখ ৪৪ হাজার ২৯৯ দশমিক ৫২ ডলার। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে তা কমে হয়েছে ৬২২ কোটি ৯৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮৬৯ দশমিক ৯৬ ডলার। এ হিসাবে, গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে ইউডির অর্থমূল্য হ্রাস পেয়েছে ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ।

ইউডির অর্থমূল্যে চলতি বছরের শুরু থেকেই উত্থান-পতন দেখা যাচ্ছে। জানুয়ারির তুলনায় গত ফেব্রুয়ারিতে ইউডির অর্থমূল্য কমেছিল ৩০ শতাংশ। মার্চে বাড়লেও এপ্রিলে আবারো কমে যায় ১৮ শতাংশ। মে মাসে আবারো বেড়ে যায়। তবে জুন ও জুলাইয়ে যথাক্রমে ২১ দশমিক ৬১ ও ৩ দশমিক ২ শতাংশ কমে যায়। এরপর আগস্টে ইতিবাচক ধারায় ফিরলেও সেপ্টেম্বরে ইউডির অর্থমূল্য হ্রাস পেয়েছে ১১ দশমিক ৮ শতাংশ। যদিও এর প্রতিফলন পণ্য রফতানির অর্থমূল্যে প্রভাব ফেলতে পারেনি। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে পণ্য রফতানির পরিসংখ্যান প্রকাশ পেয়েছে গত রোববার। তাতে দেখা যায়, প্রথম প্রান্তিকে নিটওয়্যার ও ওভেন পোশাক পণ্যের রফতানি প্রবৃদ্ধি ছিল ১৩ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। এর মধ্যে নিটওয়্যারের রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ। ওভেন পণ্যের রফতানি বেড়েছে ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

দেশের অন্যতম বড় পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপ। তাদের দাবি, পোশাক কারখানাগুলোয় এখন পর্যাপ্ত ক্রয়াদেশ নেই, কাঁচামাল ব্যবহারের পরিসংখ্যানে যার প্রতিফলনও দেখা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর বণিক বার্তাকে বলেন, ‘রফতানি বাড়ছে দেখা গেলেও অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে ইউডি হিসেবে কমেছে। বাস্তবতা হলো পোশাক রফতানি বৃদ্ধিতে পর্যাপ্ত ক্রয়াদেশ কারখানাগুলোয় নেই।’ 

একই তথ্য জানায় চট্টগ্রামভিত্তিক আরেক প্রতিষ্ঠান আরডিএম গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাকিবুল আলম চৌধুরী বণিক বার্তাকে বলেন, ‘রফতানি কমছে অথচ ইপিবি কীভাবে রফতানি বৃদ্ধির তথ্য দিচ্ছে আমরা এটা বুঝতে পারছি না। সংস্থাটির হিসাব সঠিক ধরে নেয়ারও কারণ দেখছি না। এনবিআরের (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) সঙ্গে যোগাযোগ করলে সেখান থেকে বলা হয়, ইপিবির হিসাব তাদের কাছেও বোধগম্য নয়। পোশাক তৈরির জন্য কাঁচামালের আমদানিও কমেছে। এখন সবাই উৎপাদন ব্যবস্থাটা ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কেবল।’

সরকারের পরিসংখ্যান নিয়ে মন্তব্য না করলেও নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশের পোশাক পণ্যের অন্যতম বৃহৎ এক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘পশ্চিমা দেশগুলোই বাংলাদেশী পোশাকের বড় বাজার। আমরাও সে বাজারের জন্যই বাংলাদেশ থেকে পোশাক ক্রয় বা সরবরাহ করে থাকি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর বড় বাজারগুলোয় ভোক্তাদের ক্রয়াভ্যাসে এখনো বড় ধরনের কোনো ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। এ পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের প্রতিষ্ঠানের ক্রয়াদেশ অনেক বেশি আসার কোনো সুযোগ নেই। ধীরে চলো নীতি অনুসরণ করে যাচ্ছি। ক্রয়াদেশে বড় ধরনের কোনো পতন না হলেও আগের চেয়ে কম। তবে এটা ঠিক যে কোনোভাবেই দুই অংকের রফতানি প্রবৃদ্ধি হওয়ার মতো ক্রয়াদেশ আমরাসহ কোনো ক্রেতাই দিতে পারছে না।’

নিটওয়্যার পোশাক প্রস্তুতকারকরা বলছেন, ছোট-মাঝারি-বড় সব ধরনের কারখানায়ই ক্রয়াদেশের সংকট। রফতানিমুখী পোশাক পণ্য পরিবহন ও ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার-সংশ্লিষ্টরাও বলছেন, তারা আগের চেয়ে কম পণ্য পরিবহন করছেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএফএ) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আমিরুল ইসলাম চৌধুরী বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের প্রতিষ্ঠানগুলো রফতানি পোশাকের চালান পরিবহনে জড়িত। আমার নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পোশাক রফতানি আগের চেয়ে অনেক কম হয়েছে। সংগঠনের অন্য সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও একই তথ্য জানিয়েছেন।’ 

পোশাক রফতানি কমে যাওয়ার তথ্য দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তারাও। যদিও বিধিনিষেধের কারণে বেশির ভাগ রফতানির প্রকৃত চিত্র নিয়ে বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকতে চাইছেন তারা। অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান বোর্ড অব গভর্নরসের সদস্য সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘অন্যান্য ব্যাংকের বিষয়ে আমার বলার সুযোগ নেই। তবে আমার ব্যাংকের পোর্টফোলিওতে আমদানি-রফতানি অর্থাৎ সামগ্রিক বাণিজ্যই নেতিবাচক।’ সৈয়দ মাহবুবুর রহমান মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের (এমটিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক নিটওয়্যার প্রস্তুত ও রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধাররা জানিয়েছেন, সব পক্ষের প্রতিনিধিরাই বলছেন কাজ নেই। তাহলে রফতানি করছে কে, যাদের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি দেখানো হচ্ছে পোশাক খাতে। আসলে সরকারের পরিসংখ্যানই যথার্থ নয়। কারণ একমাত্র ইন্ডিটেক্স ছাড়া এইচঅ্যান্ডএম থেকে শুরু করে বড় সব ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের ক্রয়াদেশ কমেছে। বৈশ্বিকভাবে এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, আগামী মার্চ-এপ্রিলের আগে পোশাকের ক্রয়াদেশ পরিস্থিতি ঘুরে দাঁড়াবে না। 

নিটওয়্যার পোশাক পণ্য প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএর সহসভাপতি ফজলে শামীম এহসান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমাদের কারখানাগুলোয় উৎপাদন পরিস্থিতি এখন খুবই খারাপ। বেশির ভাগ কারখানাই উৎপাদন সক্ষমতার অনেক কম ব্যবহার করছে। রফতানি পরিসংখ্যানে যদিও এর প্রকৃত অবস্থার প্রতিফলন ঘটেনি। ফলে আমাদের কাছে বোধগম্য নয় যে রফতানির এ পরিমাণ কীভাবে এল।’ 

কারখানা টিকিয়ে রাখতে দেরিতে বিল পরিশোধের শর্তেও অনেকে ক্রয়াদেশ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পোশাক খাতসংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি ও ওয়েল গ্রুপের পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘‌জানুয়ারি থেকে হিসাব ধরলে এভারেজে প্রায় ২৫ শতাংশ অর্ডার কম। গত সেপ্টেম্বরের পরিস্থিতিও খারাপ। এমনকি আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত ভালো কোনো পরিস্থিতি দেখছি না। গ্লোবাল ইকোনমি খারাপ হওয়ায় পেমেন্ট দেরি হলেও আমরা অর্ডার নিয়ে ফেলছি। ফ্যাক্টরি চালু রাখতে হলে আর কোনো উপায় নেই। এখন কোনো এক্সপোর্টার লাভের কথা চিন্তা করছে না। বরং চিন্তা হচ্ছে কোনো রকমে বেতন, ব্যাংকের টাকাটা পরিশোধের। এখন তো পরিস্থিতি এমন যে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান ব্যাংকের ডিফল্টারও হচ্ছে। কারণ যে প্রাইসে অর্ডার করছে সে প্রাইসে ব্যাংকের টাকা দেয়া যাচ্ছে না। যাদের শুধু গার্মেন্টস আছে তাদের প্রবলেমটা বড়, কিন্তু গার্মেন্টসের সঙ্গে যাদের অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রি আছে তারা এখনো ব্যাংকে ঠিক রাখতে পারছে। আমার নিজের ক্ষেত্রেও যদি শুধু গার্মেন্টসের হিসাব ধরি তাহলে নেগেটিভ, তাই অন্য সিস্টার কনসার্ন থেকে সাপোর্ট নিতে হচ্ছে।’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়-সংশ্লিষ্টরা অবশ্য বলছেন, সরকারের পরিসংখ্যানে অতিরঞ্জনের কোনো যৌক্তিকতা নেই। তথ্য ও পরিসংখ্যান সংরক্ষণের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় তথ্য ম্যানিপুলেট করার কোনো সুযোগও নেই বলে তাদের দাবি। জানতে চাইলে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘প্রথম কথা তথ্য ইপিবি তৈরি করে না। আমরা শুধু পরিসংখ্যানকে একটি নির্দিষ্ট ছকে রিপোর্ট আকারে প্রকাশ করি। পরিসংখ্যানের মূল উৎস এনবিআরের অ্যাসাইকুডা। তবে কয়েক মাস ধরেই পোশাক রফতানিকারকদের কেউ কেউ পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। কিন্তু ডাটা ম্যানিপুলেশনের কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। অ্যাসাইকুডা একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা। এর মধ্যে ৫০ সেন্টও এদিক-ওদিক হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’ 

ইউডির তথ্যে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির প্রসঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বণিক বার্তাকে  বলেন, ‘ইউডির পরিসংখ্যান দিয়ে পোশাক খাতে কী পরিমাণ কাঁচামাল ব্যবহার হয় তার একটি ধারণা পাওয়া যায়। তবে খুব বড় অংশ না হলেও রফতানির একটি অংশ আছে যেখানে ইউডির প্রয়োজন পড়ে না।’ 
এই বিভাগের আরও খবর
আদানির বিদ্যুৎ ক্রয় অর্ধেকে নামালো বাংলাদেশ

আদানির বিদ্যুৎ ক্রয় অর্ধেকে নামালো বাংলাদেশ

ভোরের কাগজ
৩০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এডিবি

৩০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এডিবি

জাগোনিউজ২৪
১০ শতাংশ মানুষ ভোগ করছে ৮৫ শতাংশ সম্পদ

১০ শতাংশ মানুষ ভোগ করছে ৮৫ শতাংশ সম্পদ

যুগান্তর
নাটোরে ন্যায্যমূল্যের বাজার উদ্বোধনের পরপরই ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়

নাটোরে ন্যায্যমূল্যের বাজার উদ্বোধনের পরপরই ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়

প্রথমআলো
আমদানি অব্যাহত, তবুও কমছে না আলু-পেঁয়াজের দাম

আমদানি অব্যাহত, তবুও কমছে না আলু-পেঁয়াজের দাম

যুগান্তর
চীনা বিনিয়োগের কোনো প্রকল্পেই কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না

চীনা বিনিয়োগের কোনো প্রকল্পেই কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না

বণিক বার্তা
ট্রেন্ডিং
  • সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে 'বস্তায় বস্তায় ঘুষ' নেওয়ার অভিযোগ: দুদকের অনুসন্ধান শুরু

  • ভালোবাসা দিবসে পরী মনির ‘বুকিং’

  • নির্বাচনের আগে পাকিস্তানে জোড়া বিস্ফোরণে নিহত ২৮

  • ভিসা পদ্ধতি পুরোপুরি তুলে নিলো যে দেশ

  • শন্তিপূর্ণভাবে মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা করেছি: প্রধানমন্ত্রী

  • ২০৩৫ সালের মধ্যে চীনের পারমাণবিক অস্ত্র বাড়বে তিন গুণ

  • তানজানিয়ায় প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৯

  • ব্যাংকে ৫ কোটি টাকার বেশি থাকলে বেশি কর

  • কাতার বিশ্বকাপে ফিরছে জিদানের সেই ভাস্কর্য

  • ইন্দোনেশিয়ার নিষেধাজ্ঞায় তেলের মূল্য আকাশছোঁয়া