ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর গোপন পরিকল্পনার নথি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু নথি ‘অতি গোপনীয়’। রয়েছে যুদ্ধক্ষেত্রের মানচিত্র, তালিকা ও ছবি। যুদ্ধে ইউক্রেনকে কীভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো সহায়তা করতে পারে, তার বিস্তারিত কৌশল বোঝা যায় এসব নথি থেকে। বোঝা যায় যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি।
মার্কিন বিচার বিভাগ শনিবার বলেছে, তারা মার্কিন গুরুত্বপূর্ণ ও গোপন ভাণ্ডার থেকে ফাঁস হওয়া অনেক নথির ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে। ফাঁস হওয়া এসব নথির মধ্যে অনেকটা ইউক্রেন সম্পর্কিত, যা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।
গোপনীয়তা লঙ্ঘিত এসব রিপোর্টের মধ্যে মূল্যায়ন এবং গোপন গোয়েন্দা রিপোর্ট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, যা শুধুমাত্র ইউক্রেন এবং রাশিয়ার উপরই নয়, মার্কিন মিত্রদের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অত্যন্ত সংবেদনশীল বিশ্লেষণও রয়েছে।
বিচার বিভাগের এক মুখপাত্র এএফপিকে বলেছেন, আমরা এ বিষয়ে প্রতিরক্ষা বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং তদন্ত শুরু করেছি।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর ১৪ মাস পর এসে প্রথমবারের মতো যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের কোনো নথি ফাঁসের ঘটনা ঘটল। টুইটার ও টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়া এসব গোপন নথি অন্তত ছয় সপ্তাহ আগের। তবে সবচেয়ে সাম্প্রতিক নথিগুলোও গত ১ মার্চের।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের কর্মকর্তাদের বরাতে সংবাদমাধ্যমের খবর, ফাঁস হওয়া এসব নথি আসল।
নথিগুলো পর্যবেক্ষণ করে বিবিসি জানিয়েছে, এতে ইউক্রেনকে সামরিক সরঞ্জাম দেওয়া ও দেশটির সেনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিবরণ রয়েছে। এ ছাড়া রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে এবারের বসন্তে বড় ধরনের পাল্টা হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে ইউক্রেন, এমনটাই বলা রয়েছে ফাঁস হওয়া নথিতে।
নথিতে আরও দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র অনুমান করছে, চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার ১ লাখ ৮৯ হাজার ৫০০ থেকে ২ লাখ ২৩ হাজার সেনা হতাহত হয়েছেন। ইউক্রেনের দিক থেকে এ সংখ্যা ১ লাখ ২৪ হাজার ৫০০ থেকে ১ লাখ ৩১ হাজারের মধ্যে। তবে দুটি সংখ্যা নিয়ে পেন্টাগনের সংশয় রয়েছে। পেন্টাগন মনে করছে, এতে তথ্যের ঘাটতি থাকতে পারে।
এখন যে প্রশ্ন গুরুত্বপূর্ণ, কে এসব গোপন নথি ফাঁস করল? এ বিষয়ে তদন্তকারী ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ বেলিংক্যাটের অ্যারিক টোলার বলেন, শুরুতে মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম ডিসকোর্ড থেকে ফোরচ্যান ও টেলিগ্রামে এসব নথি ছড়িয়ে পড়েছিল। এ প্রক্রিয়া সম্পর্কে ইতিমধ্যে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। গত মার্চের শুরুর দিকে কম্পিউটার গেমাররা এসব নথি দেখতে পান। তবে ফাঁস হওয়া তথ্যের প্রকৃত উৎস সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
তিনি জানান, গত মার্চের শুরুর দিকে কম্পিউটার গেম মাইনক্রাফটের খেলোয়াড়েরা এসব নথি দেখতে পান। আলাপ-আলোচনা করেন। গত ৪ মার্চ একজন গেমার এমন ১০টি নথি পোস্ট করেন। তিনি লিখেন, ‘এখানে কিছু ফাঁস হওয়া নথি আছে’।
ইউক্রেন যুদ্ধ এখন বেশ জটিল মুহূর্তে রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে যুদ্ধের কৌশল নিয়ে গোপন নথি ফাঁসের ঘটনা ইউক্রেনকে চাপে ফেলতে পারে। এ কারণে এবারের বসন্তে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের কৌশল বদলাতে হতে পারে কিয়েভকে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়