আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে ফেরার পর ৮৩ সালে গ্রেফতার করা হয়। ডিজিএফআইয়ের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর নানা সময়ই গ্রেফতার হতে হয়েছে। তবে কারও কাছে কোনো দিন মাথা নত করিনি, জীবন ভিক্ষা চাই নি। আমি পরিবার ও বাবার কাছ থেকে এটা শিখছি যে, কারো কাছে বা কোনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবো না।’
শনিবার (১১ জুন) দুপুরে গণভবনে শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা ফুল দিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানানোর সময় এসব কথা বলেন তিনি।
শুভেচ্ছার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগকে সবসময় উজানে নাও ঠেলে চলতে হয়েছে। যতবার গ্রেফতার হয়েছি, ততবারই নেতাকর্মীদের উদ্দেশে চিঠি দিয়েছি, দেশবাসীকে চিঠি দিয়েছি। চিঠির মাধ্যমে তাদের নিদের্শনা দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আন্দোলন ও চাপে বাধ্য হয় আমাকে মুক্তি দিতে। সে সময়ের সরকার অবাক হয় যে, ১৫ দিনে আমার মুক্তির জন্য ২৫ লাখ সই সংগ্রহ করা হয়। এটাই আওয়ামী লীগ, জনগণই হলো আমাদের শক্তি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা সবসময় ঠিক থাকে। এটা বাবার সময়ও দেখেছি। জেলে বসে দেশ কীভাবে চালাবো, দল কীভাবে চালাবো সেসব লিখে রেখেছিলাম। কীভাবে উন্নয়ন করবো, সেসব পরিকল্পনা লিখে রাখি।
দেশে ফেরার পর ৮৩ সালে গ্রেফতার করা হয়। ডিজিএফআইয়ের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর নানা সময়ই গ্রেফতার হতে হয়েছে। তবে কারও কাছে কোনো দিন মাথা নত করিনি, জীবন ভিক্ষা চাই নি। আমি পরিবার ও বাবার কাছ থেকে এটা শিখছি যে, কারো কাছে বা কোনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবো না।’
‘আমরা এখন সরকারে। জনমানুষের কল্যাণ আমরা বুঝি, সেটাই করে যাচ্ছি। আজ প্রতি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। মানুষ শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে সঠিকভাবে। আমরা একটি বাজেট দিয়েছি। উন্নত দেশে জিডিপি মাইনাসে। অথচ আমরা সেটি পাঁচ ভাগের ওপরে রেখেছি। আন্তর্জাতিকভাবে এত বাধা, তবুও নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু করেছি। তারপরও কিছু মানুষ এটিকে অর্জন হিসেবে নিতে পারে না।’
এ সময় প্রশ্ন করে শেখ হাসিনা বলেন, কেন তাদের এই দৈনতা? বিনা পয়সায় টিকা দিয়েছি, বিনা পয়সায় যাদের ভ্যাকসিন দিয়ে তরতাজা করেছি, তারাই এখন সমালোচনা করছে।
জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছেন। এ স্বাধীনতা বৃথা যেতে পারে না। আমরা আমাদের কাজ করে যাবো। সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করে যাবো। যে যাই বলুক, আমরা আমাদের কাজ করে যাবো। প্রজন্মের পর প্রজন্ম পর্যন্ত যেন সুফল পায় সে ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ১০০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা করেছি।’
গণভবনে দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুভেচ্ছা বক্তব্যে শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবসকে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস বলে আখ্যা দেন তিনি।
এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ গণতন্ত্রের বিজয় দিবস। এ দিন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের বিজয় নিশ্চিত করেছে। শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাঙালি ভোটের অধিকার ফিরে পেয়েছে, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, তোমার মিথ্যাচার করো, আমরা কাজ করে জবাব দেই।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়