ক্যাম্পে বসেই বোমা বানাতো দুই গ্রুপের ১০ জন কারিগর

১৪ একর আয়তনের জেনেভা ক্যাম্পকে শহরের ভেতর ভিন্ন এক শহর বলা চলে। যেন বায়ান্ন বাজার, তেপ্পান্ন গলি। ১৫ হাজার ঘরে ৫০ হাজার মানুষের বসবাস। ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের আগেই সটকে পড়ছে ক্যাম্পে অবস্থান করা দুষ্কৃতকারীরা।

গত তিন মাসে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অশান্ত জেনেভা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার ও শত্রুতার জের নিয়ে বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ ও হাত বোমার আঘাতে শিশুসহ সাত জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এরমধ্যে বিস্ফোরণে আঘাতে মারা গেছে দুই জন। আহত হয়েছেন শিশু-নারীসহ অন্তত শতাধিক মানুষ। এসব সংঘর্ষের মূল হোতা মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বুনিয়া সোহেল ও চুয়া সেলিম গ্রুপের সংঘর্ষ এখন নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনায় দাঁড়িয়েছে।

সবশেষ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) মধ্যরাতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল-বোমার আঘাতে মারা যান বুনিয়া সোহেল গ্রুপের সদস্য রাজ ওরফে একগাল। একইদিন সকালে ক্যাম্পের চার নম্বর সেক্টরে ‘শাকিল বুক’ স্টোরের পাশের ময়লায় ভাগাড়ে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে চার পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ আহত হন সাত জন। এ ঘটনায় এখনও পাঁচ জন সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জানা যায়, ক্যাম্পে সেনাবাহিনীর অভিযানের খবরে ময়লার ভাগাড়ে চুয়া সেলিম, গালকাটা মুনু, শাহ আলম, সোনারুল এরশাদ ও আলতাফের ছেলে ইরফান বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ ডজনখানেক ককটেল-বোমা ফেলে যায়।

সম্প্রতি সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি অর্ধশতাধিক ককটেল ও হাত বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। এসব বোমা একই ক্যাম্পে বিভিন্ন আস্তানায় বসে বানাচ্ছে দুই গ্রুপের অন্তত ১০ জন কারিগর।

ক্যাম্পের ভেতরে কারা বোমা বানাচ্ছে, এসব বোমা কারা ব্যবহার করছে, কারা নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে–ক্যাম্পের বাসিন্দাদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গোয়েন্দা তথ্য উঠে এসেছে।

মোহাম্মদপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আলী ইফতেখার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি ক্যাম্পের ভেতরে তারা নিজেরাই বোমা তৈরি করছে। সবশেষ রাজ নামে যে ব্যক্তি খুন হয়েছে, সে হাত বোমার আঘাতেই মারা গেছে। এসব বোমা তারা নিজেরাই তৈরি করছে। গানপাউডার, ভেতরে কিছু লোহার টুকরা ও জরদার কৌটা দিয়ে বানাচ্ছে সেগুলো।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বোমা কারিগরদের তথ্য সংগ্রহ করছি– কারা বোমা বানাচ্ছে এবং কাদের নিয়ন্ত্রণে বোমা বানানো হচ্ছে, কারা ক্যাম্পকে অশান্ত করে তুলছে। ক্যাম্পের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। যতদিন পর্যন্ত ক্যাম্পে অরাজকতা চলবে ততদিন আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।’

জানা যায়, চুয়া সেলিমের নিয়ন্ত্রণে থাকা দুই, চার ও আট নম্বর সেক্টরে বোমা বানাচ্ছে পাঁচ জন কারিগর। এরমধ্যে দুই নম্বর সেক্টরে বোমাকারিগর উল্টা সালাম ও পাপ্পুর ছেলে সনু, চার নম্বরে সোহেল কসাই এবং আট নম্বর সেক্টরে গালকাটা মনু ও কালা ইমরান বোমা বানায়।
এই বিভাগের আরও খবর
পাসপোর্ট করতে পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিল

পাসপোর্ট করতে পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিল

প্রথমআলো
নতুন দলের প্রধান চূড়ান্ত, সদস্যসচিব নিয়ে দরকষাকষি!

নতুন দলের প্রধান চূড়ান্ত, সদস্যসচিব নিয়ে দরকষাকষি!

জনকণ্ঠ
জুলাই আন্দোলন নিয়ে ‘জাতিসংঘের প্রতিবেদন’ পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করবে বিএনপি: এ্যানি

জুলাই আন্দোলন নিয়ে ‘জাতিসংঘের প্রতিবেদন’ পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করবে বিএনপি: এ্যানি

বাংলা ট্রিবিউন
ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠকে যেসব পরামর্শ ও দাবি উঠে এলো

ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠকে যেসব পরামর্শ ও দাবি উঠে এলো

নয়া দিগন্ত
ইসির নিবন্ধন কেন্দ্রে বাদপড়াদের ভিড়

ইসির নিবন্ধন কেন্দ্রে বাদপড়াদের ভিড়

আমার দেশ
লিবিয়া থেকে ফেরত আনা হলো ১৪৫ জন বাংলাদেশিকে

লিবিয়া থেকে ফেরত আনা হলো ১৪৫ জন বাংলাদেশিকে

বাংলা ট্রিবিউন
ট্রেন্ডিং
  • বাশার আল-আসাদের পতনের লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেওয়া কে এই জোলানি

  • আমরা এক ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে আছি: প্রধান বিচারপতি

  • প্রাথমিকে ৯৩ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগ মেধার ভিত্তিতে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

  • সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে 'বস্তায় বস্তায় ঘুষ' নেওয়ার অভিযোগ: দুদকের অনুসন্ধান শুরু

  • ভালোবাসা দিবসে পরী মনির ‘বুকিং’

  • নির্বাচনের আগে পাকিস্তানে জোড়া বিস্ফোরণে নিহত ২৮

  • ভিসা পদ্ধতি পুরোপুরি তুলে নিলো যে দেশ

  • শন্তিপূর্ণভাবে মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা করেছি: প্রধানমন্ত্রী

  • ২০৩৫ সালের মধ্যে চীনের পারমাণবিক অস্ত্র বাড়বে তিন গুণ

  • তানজানিয়ায় প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৯