অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় জ্বালানি ও মৌলিক নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহের মাধ্যমে সহায়তা করতে এক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে মিসর ও কাতার।
বুধবার কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায়।
নরওয়ের অসলোতে ফিলিস্তিনিদের সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক দাতা গোষ্ঠী অ্যাড হক লিয়াসন কমিটির (এএইচএলসি) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক চলাকালে দুইপক্ষের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল-মুরাইখি ‘এই অঞ্চলে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে চলমান চুক্তির গুরুত্ব, রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে ভ্রমণকারীদের চলাফেরায় সুবিধা দেয়া এবং সকল পক্ষের মধ্যে যোগাযোগের ওপর জোর দেন।’
মিসর ও কাতারের মধ্যে এই চুক্তি এমন সময় স্বাক্ষরিত হলো, যখন চলতি বছরের মে মাসে টানা ১১ দিনের ইসরাইলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় পুনর্নির্মাণের প্রচেষ্টা চলছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুসারে, ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজায় দুই হাজার দুই শ’ ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস ও ৩৭ হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
গাজায় ইসরাইলের টানা ১১ দিনের বিমান হামলায় অন্তত ২৫৩ ফিলিস্তিনি নিহত হন। অপরদিকে গাজা থেকে স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলোর নিক্ষিপ্ত রকেটে ইসরাইলে ১৩ জন নিহত হন।
১০ মে থেকে ২১ মে পর্যন্ত চলা এই সংঘর্ষ পরে মিসরের মধ্যস্থতায় ইসরাইলি সামরিক বাহিনী ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলো বন্ধ করতে সম্মত হয়।
গাজার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মে মাসের সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত গাজার অবকাঠামো গড়ে তুলতে আনুমানিক ৪৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার প্রয়োজন হবে। মিসর ও কাতার উভয়েই গাজায় পুনর্নির্মাণে ৫০ কোটি ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
১৯৬৭ সালের দ্বিতীয় আরব-ইসরাইল যুদ্ধে ওই সময় মিসরের নিয়ন্ত্রণে থাকা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজা উপত্যকা প্রথম দখল করে ইসরাইল।
১৯৮৭ সালে প্রথম ইন্তেফাদায় ফিলিস্তিনিদের গণজাগরণের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিতে সম্মত হয় ইসরাইল। ১৯৯৩ সালে ইসরাইলি সরকার ও প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের মধ্যে জর্দান সংলগ্ন পূর্ব জেরুসালেমসহ পশ্চিম তীর ও মিসর সংলগ্ন গাজা উপত্যকায় স্বাধীন ফিলিস্তিন গঠনে অসলো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
কিন্তু চুক্তি বাস্তবায়নে ইসরাইলের উপেক্ষা ও চুক্তির অধীন ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলি বসতি সম্প্রসারের ফলে ২০০০ সালে দ্বিতীয় ইন্তেফাদার মাধ্যমে আবার বিক্ষোভ শুরু করে ফিলিস্তিনিরা।
গাজায় এই বিক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করায় ২০০৫ সালে এই উপত্যকা থেকে সম্পূর্ণভাবে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় ইসরাইল।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়