এতে প্রথমবারের মতো পরমাণু-সক্ষমতার ডুবোজাহাজ নির্মাণ করতে পারবে অস্ট্রেলিয়া। যাতে মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও অন্যান্য মার্কিন প্রযুক্তির ব্যবহারও অকাস নামের এই চুক্তির আওতায় থাকছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, গেল কয়েক দশকের মধ্যে এটি অন্যতম বড় প্রতিরক্ষা অংশীদারত্ব।
তবে এ চুক্তিকে চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য করেছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, এতে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতা বেড়ে যাবে।
ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাস বলছে, দেশগুলোর মধ্যে ঠাণ্ডাযুদ্ধকালীন মানসিকতা ও মতাদর্শিক পূর্বসংস্কার কাজ করছে।
তবে এ চুক্তি নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে বিবাদ তৈরি হয়েছে ক্যানবেরার। কারণ অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ফ্রান্সের ১২টি ডুবোজাহাজ নির্মাণের একটি চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ-ইয়েভেস লি দ্রিয়ান বলেন, আমাদের সঙ্গে পিছন থেকে ছুরিকাঘাতের মতো আচরণ করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও অস্ট্রেলিয়ার স্কট মরিসনে মধ্যে একটি ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে নতুন এই অংশীদারত্বের ঘোষণা এসেছে।
যদিও চুক্তিতে চীনের কথা সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু তিন নেতা বারবার আঞ্চলিক নিরাপত্তা উদ্বেগের কথা উল্লেখ করেছেন। তারা বলছেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তার উদ্বেগ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস বলেন, ইতিহাসের সবচেয়ে বড় একটি সামরিক ব্যয় শুরু করেছে চীনারা। তাদের নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রসার মারাত্মকভাবে বাড়ছে। পরিষ্কারভাবেই তারা বিতর্কিত অঞ্চলগুলোতে নিজেদের উপস্থিতি সম্প্রসারিত করেছে। এটা যে কাউকে শত্রুতার দিকে ঠেলে দেবে।
সম্প্রতি দক্ষিণ চীন সাগরের মতো ভূখণ্ডগুলোতে উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য বেইজিংকে দায়ী করা হচ্ছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তিন দেশের মধ্যকার সবচেয়ে বড় নিরাপত্তার আয়োজন অকাস চুক্তি।
অস্ট্রেলিয়ার এই ডুবোজাহাজ বিশাল খরচের কোনো উদ্যোগ। এছাড়াও সাইবার সক্ষমতা ও সাগরতলের বিভিন্ন প্রযুক্তিও এই চুক্তির অংশ। এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিন দেশের জন্য এটি এক ঐতিহাসিক সুযোগ। আমাদের যৌথ মূল্যবোধ, নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একই মানসিকতা ও অংশীদারত্বের দেশ ত্রয়ীর জন্য এই চুক্তি বড় সুযোগ এনে দেবে।
এশিয়া সোসাইটি অস্ট্রেলিয়ার গাই বুয়েকেনস্টেইন বলছেন, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের আগ্রাসী পদক্ষেপের মোকাবিলা ও অবস্থান নিতে দেশ তিনটি একটি সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।
প্রশান্ত মহাসারগীয় দ্বীপগুলোতে চীনের অবকাঠামো নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ কাজ করছে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোর বিরুদ্ধে চীনের বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা নিয়েও তারা সমলোচনামুখর।
অতীতে চীন-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সুসম্পর্ক থাকলেও সম্প্রতি তাতে ফাটল দেখা দিয়েছে। চীনের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার ছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে তাতে অনিশ্চয়তা শুরু হয়েছে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়