নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করতে আজ বৈঠকে বসবে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান নেতৃত্বাধীন সার্চ কমিটি। এর আগে গতকাল ২০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রস্তুত করা হয়। এ তালিকাকেই আরো সংক্ষেপ করে ১০ জনে নেয়া হবে। এরপর সে তালিকা পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতির কাছে।
গতকাল কমিটির বৈঠক শেষে সার্চ কমিটির সাচিবিক দায়িত্বে থাকা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. সামসুল আরেফিন এ তথ্য জানান। বেলা সোয়া ১১টা নাগাদ সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে সার্চ কমিটির এ বৈঠক শুরু হয়। আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য হাইকোর্টের বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন, লেখক-অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক, মহাহিসাব নিয়ন্ত্রক ও নিরীক্ষক (সিএজি) মুসলিম চৌধুরী এবং সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে মো. সামসুল আরেফিন বলেন, আইনে বর্ণিত যোগ্যতা অনুযায়ী প্রস্তাবিত নামগুলো থেকে ২০ জনের একটি প্রাথমিক তালিকা করা হয়েছে। আরো দু-একটি সভা হবে। এসব সভায় চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত হবে। এরপর যাবতীয় সব বিষয় আপনারা জানতে পারবেন।
এর আগে ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে নাম প্রস্তাব করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের কাছে নাম চেয়েছিল সার্চ কমিটি। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের জন্য তিন শতাধিক নামের প্রস্তাব পায় কমিটি। ওই তালিকায় অধিকাংশই ছিলেন অধ্যাপক, বিচারপতি, সাবেক সচিব, সাবেক সামরিক কর্মকর্তা। তবে আইন অনুযায়ী প্রস্তাবিত নামগুলো থেকে ১০ জনের তালিকা করার কোনো বাধ্যবাধকতা আইনে নেই। এক্ষেত্রে কমিটির নিজস্ব বিবেচনা থেকেও তালিকা চূড়ান্ত করার সুযোগ রয়েছে।
আইনে বলা হয়েছে, স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার নীতি অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করবে সার্চ কমিটি। আইনে নির্ধারিত যোগ্যতা-অযোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও সুনামের ভিত্তিতে কমিটি সিইসি পদের জন্য দুজন এবং নির্বাচন কমিশনারের চারটি পদের জন্য আটজনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করবে।
এক্ষেত্রে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার পদে সুপারিশের জন্য মূলত তিনটি যোগ্যতার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথমটি হলো সুপারিশকৃতকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। দ্বিতীয় যোগ্যতা হিসেবে বলা হয়েছে, বয়স ন্যূনতম ৫০ বছর হতে হবে। তৃতীয় যোগ্যতা হিসেবে বলা হয়েছে সুপারিশকৃতকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি অথবা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে অন্তত ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
সার্চ কমিটিকে নাম সুপারিশের জন্য ১৫ কার্যদিবস সময় দেয়া হয়েছে। সে হিসেবে কমিটির হাতে সময় রয়েছে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এর আগেও দুটি নির্বাচন কমিশন সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠন করা হয়েছিল। সার্চ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ২০১২ সালে কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ ও ২০১৭ সালে কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। ওই সময় সার্চ কমিটির কাছে জমা পড়া কোনো নাম প্রকাশ করা হয়নি।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়