জনবল ৭২, রোগী দুই জন

৯২ শয্যা বিশিষ্ট চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতাল। চিকিৎসকসহ হাসপাতালটির বিভিন্ন পদে জনবল কর্মরত আছেন ৭২ জন। বুধবার (১ মার্চ) হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, চিকিৎসাধীন রোগী ভর্তি আছে মাত্র দু’জন। সেখানে কর্মকর্তারাই জানিয়েছেন, কখনও একজন, আবার কখনও কখনও দুই থেকে তিনজন রোগী ভর্তি থাকেন হাসপাতালটিতে। আর মাসের অধিকাংশ সময়ই রোগীশূন্য থাকে হাসপাতালটি। এর পেছনে কারণ হিসেবে তারা বলছেন, নানাবিদ সংকটে জর্জরিত এই হাসপাতাল।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে চিকিৎসক কর্মরত আছেন চার জন, মেট্রন (তদারককারী) একজন, সিস্টার ইনচার্জ চার জন, ফার্মাসিস্ট একজন, স্টোয়ার্ড (রোগী খাবার তদারককারী) ছয় জন, ওটি সহকারী একজন, ড্রেসার একজন। অপরদিকে চতুর্থ শ্রেণির বিভিন্ন পদে কর্মরত আছেন ৫৪ জন। এরমধ্যে পরিচ্ছন্নতা কর্মী ১৫ জন, নিরাপত্তা প্রহরী একজন, বাবুর্চি দুজন, সহকারী বাবুর্চি তিন জন, ওয়ার্ডবয় ১০ জন, আয়া ছয়জন, অ্যাম্বুলেন্স ক্লিনার একজন ও স্ট্রাকচার কেয়ারের দায়িত্বে আছেন দুই জন।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতালের জুনিয়র নার্স হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত মো. রফিক। বছর দুয়েক পরে যাবেন অবসরে। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এক সময় এই হাসপাতালে রোগীর অনেক চাপ ছিল। সিট না পেয়ে মেঝেতে পর্যন্ত রোগী থাকতো। পূর্বাঞ্চলের হাজার হাজার কর্মরত এবং অবসরপ্রাপ্ত রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাধারণ মানুষের চিকিৎসার অন্যতম ভরসাস্থল ছিল এই হাসপাতাল। এখন চিকিৎসক নেই। সে কারণে তেমন একটা রোগী আসছে না। কখনও দু’জন, কখনও তিন জন আবার অনেক সময় রোগী শূন্য থাকে।’

হাসপাতালটিতে ৯২টির মতো শয্যা আছে। আছে তিনটি ওয়ার্ড। এরমধ্যে সার্জিক্যাল ওয়ার্ড, মেডিসিন ওয়ার্ড ও মহিলা ওয়ার্ড। আছে মন্ত্রী-এমপি কিংবা ভিআইপিদের জন্য নির্দিষ্ট কেবিনও। তারপরও রোগী কম হওয়ার কারণ হিসেবে চিকিৎসক সংকটকেই দায়ী করছেন এই নার্স। তার ভাষ্য, ‘হাসপাতালটিতে চিকিৎসক অনেক কম। এ কারণে রোগীরা ভর্তি হতে চান না।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত এই হাসপাতাল। অপারেশনের নির্দিষ্ট কক্ষ থাকলেও নেই অপারেশনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। সংকট রয়েছে চিকিৎসক, সার্জন, নার্স, ল্যাব ও ডায়াগনস্টিক যন্ত্রপাতির। অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও সেটি বছরের প্রায় সময় নষ্ট থাকে। 

মাসুদুর রহমান নামে এক রেলওয়ে কর্মচারী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জ্বর, মাথা ব্যাথাসহ ছোট-খাটো সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে কিছু রোগী রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে বড় কোনও সমস্যা নিয়ে কেউ এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে শুনিনি। যদিও এক সময় এই হাসপাতালের কদর ছিল। গত ১০ বছর ধরে এ হাসপাতালটির প্রতি রেলওয়ে কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণে হাসপাতালটির এমন হাল হয়েছে।’ 
এই বিভাগের আরও খবর
চিয়া সিড কতক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে সবচেয়ে বেশি উপকার?

চিয়া সিড কতক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে সবচেয়ে বেশি উপকার?

প্রথমআলো
বৈশ্বিক ডায়াবেটিসের হার গত ৩০ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে

বৈশ্বিক ডায়াবেটিসের হার গত ৩০ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে

মানবজমিন
শিশুর ডেঙ্গু: উপসর্গ নিয়ে যা কিছু জানা জরুরি

শিশুর ডেঙ্গু: উপসর্গ নিয়ে যা কিছু জানা জরুরি

বাংলা ট্রিবিউন
ডেঙ্গুতে ২০০ ছাড়ালো মৃত্যু

ডেঙ্গুতে ২০০ ছাড়ালো মৃত্যু

মানবজমিন
আন্দোলনে আহত দেড় শতাধিক রোগীকে পর্যবেক্ষণ করেছেন চীনা চিকিৎসকরা

আন্দোলনে আহত দেড় শতাধিক রোগীকে পর্যবেক্ষণ করেছেন চীনা চিকিৎসকরা

বণিক বার্তা
কী খেয়ে নিজেকে এত ফিট রাখেন অনন্যা পান্ডে

কী খেয়ে নিজেকে এত ফিট রাখেন অনন্যা পান্ডে

প্রথমআলো
ট্রেন্ডিং
  • সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে 'বস্তায় বস্তায় ঘুষ' নেওয়ার অভিযোগ: দুদকের অনুসন্ধান শুরু

  • ভালোবাসা দিবসে পরী মনির ‘বুকিং’

  • নির্বাচনের আগে পাকিস্তানে জোড়া বিস্ফোরণে নিহত ২৮

  • ভিসা পদ্ধতি পুরোপুরি তুলে নিলো যে দেশ

  • শন্তিপূর্ণভাবে মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা করেছি: প্রধানমন্ত্রী

  • ২০৩৫ সালের মধ্যে চীনের পারমাণবিক অস্ত্র বাড়বে তিন গুণ

  • তানজানিয়ায় প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৯

  • ব্যাংকে ৫ কোটি টাকার বেশি থাকলে বেশি কর

  • কাতার বিশ্বকাপে ফিরছে জিদানের সেই ভাস্কর্য

  • ইন্দোনেশিয়ার নিষেধাজ্ঞায় তেলের মূল্য আকাশছোঁয়া