টাঙ্গাইলে যমুনা, ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বাঁধ উপচে পানি ঢুকে তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক নিম্নাঞ্চল। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে নদীভাঙন।
শনিবার (২৮ আগস্ট) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ১১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ধলেশ্বরী নদীর পানি সাত সেন্টিমিটার বেড়ে ৩৫ সেন্টিমিটার এবং ঝিনাই নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, এভাবে পানি বাড়তে থাকলে জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। টানা পানি বাড়তে থাকায় বন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী, দেলদুয়ার, নাগরপুর, বাসাইল, মির্জাপুর এবং ভূঞাপুরের কয়েক হাজার মানুষ। এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট।
সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের কচুয়া, চকগোপাল, মালতিপাড়া, সাতানী হুগড়া গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। এছাড়া কাশিনগর ও মাহমুদনগর ইউনিয়নের ডুবাই, বেথর, খারজানা, মাখরখৈাল গ্রামেরও একই অবস্থা। প্লাবিত হয়েছে কাকুয়া ইউনিয়নে রাঙ্গাচুরা, পৌলি, কালিকৈটিল, মইসা ও ওমরপুর গ্রাম।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পানির তোড়ে ভেঙে গেছে বাসাইল-নাটিয়াপাড়া সড়কের বিলপাড়া এলাকার রাস্তা। এতে ওই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া, বাসাইল উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি ও মাছের ঘের।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়