তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ। তাপমাত্রা প্রতিদিনই ঊর্ধ্বমুখী। তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ। কোথাও বৃষ্টি নেই। দিনের বেলার প্রখর তাপে গরম হওয়া প্রকৃতি রাতেও ঠাণ্ডা হয় না। কালবৈশাখীর এ সময়েও জোরে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে না। শুকিয়ে যাচ্ছে পুকুর-জলাশয়, বিল-ঝিলের পানি। টিউবওয়েলে পানি উঠছে না বিভিন্ন এলাকায়। এই গরমে আবার শুরু হয়েছে বিদ্যুতের ঘাটতি। ফলে কর্তৃপক্ষ প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই লোডশেডিং শুরু করে দিয়েছে। বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। কখনো কখনো তাপমাত্রা উঠে যায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি।
শহর থেকে গ্রাম কোথাও স্বস্তি নেই। অব্যাহত গরমে বাড়ছে রোগব্যাধি। করোনার হানাতো চারপাশে চলছেই। একই সাথে চলছে ঠাণ্ডা-কাশি, সর্দি-জ্বর এবং ডায়রিয়া। পানির প্রাপ্তি হ্রাস পাওয়ায় মানুষের শুরু হয়েছে জণ্ডিসের প্রাদুর্ভাব। এ ব্যাপারে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন প্রয়োজন না হলে রোদের মধ্যে ঘোরাফিরা না করতে। কারণ পানিশূন্যতা দেখা দিয়ে হিটস্ট্রোক হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে বয়স্কদের প্রয়োজন না হলে ঘরেই অবস্থান করার পরামর্শ দিয়েছেন।
আবহাওয়া অফিস চলতি মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা একটু বেশি বৃদ্ধি পাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে মাসের শুরু থেকেই। দেশের পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ চলার পূর্বাভাস ছিল। কার্যত শুধু পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল নয়, দেশের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলেই মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ চলছে গত দু’দিন থেকে। কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস থাকলেও এখনো বড় ধরনের কোনো ঝড় হয়নি।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়