তুরস্কের শহর ইস্তাম্বুলের এলজিবিটি বা সমকামী সম্প্রদায়ের প্রাইড মিছিল থেকে অন্তত ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সমকামিরা একত্র হয়ে যখন মিছিল শুরুর পরিকল্পনা করছিল, তখনই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। জানা গেছে, সমকামিরা আগেই মিছিলের অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন তাতে রাজি হয়নি। প্রশাসনের নিষেধ অগ্রাহ্য করে মিছিল করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু করে সমকামি অধিকারকর্মীরা। এরপরই অন্তত ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিশ্বজুড়ে সমকামিদের অধিকারকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো। তুরস্কে সমকামিদের অধিকার হরণ নিয়ে প্রায়ই পশ্চিমাদের চাপের মুখে পড়তে হয় দেশটির রিসেপ তাইয়েফ এরদোগানের সরকারকে। এরদোগান সরকার সমকামিতার বিরোধী। এলজিবিটিকিউ আন্দোলনকে তারা গুরুত্ব দেয় না। সম্প্রতি তৃতীয়বারের জন্য দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন এরদোগান।
নির্বাচনী প্রচারে তিনি সরাসরি এলজিবিটিকিউ গোষ্ঠীর বিরোধিতা করেছিলেন। তার বক্তব্য, এই আন্দোলন দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা পরিবারের কাঠামোকে ভেঙে দিচ্ছে। প্রাচীন সংস্কার, মূল্যবোধকে নষ্ট করছে।
তবে তুর্কি প্রেসিডেন্টের এই অভিমতের সঙ্গে সহমত নন এলজিবিটিকিউ গোষ্ঠী এবং আন্দোলনকারীরা। তারা দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের অধিকারের লড়াই চালাচ্ছেন তুরস্কে। সেই আন্দোলনের সূত্র ধরেই রোববার ইস্তাম্বুলে একত্রিত হয়েছিলেন তারা। লক্ষ্য ছিল একটি মিছিলের আয়োজন করা। কিন্তু পুলিশের অভিযানে তা বাতিল হয়ে যায়। রোববার দাঙ্গার থামানোর প্রস্তুতি নিয়েই ইস্তিকলাল অ্যাভিনিউতে যায়। প্রতি বছর জুন মাসেই এখানে প্রাইড মিছিলের আয়োজন করে তুরস্কের সমকামিরা। তবে এ বছর তাদেরকে তাকসিম স্কয়ারে প্রবেশে বাধা দেয়া হয়। পাশাপাশি আশেপাশের রাস্তাগুলিও বন্ধ করে গণপরিবহন চলাচল স্থগিত করা হয়।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়