দাবি মানলে বৈষম্যের শঙ্কা, শিক্ষার্থীদের রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ উপদেষ্টার

রাজধানীর সাত কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কমিশন গঠনের দাবিসহ শিক্ষা খাতের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শিক্ষাঙ্গনে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খল অবস্থায় পাওয়া শিক্ষা খাতে শৃঙ্খলা ও স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। এসব দাবি-দাওয়ার মধ্যে ন্যায্য-অন্যায্য এবং কিছুক্ষেত্রে পরস্পরবিরোধী দাবিও আছে। একটি বৈষম্যবিরোধী দাবি মানলে অন্যান্য ক্ষেত্রে বৈষম্য তৈরি হতে পারে।’

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং অন্যান্য শিক্ষা সংশ্লিষ্ট আন্দোলন প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা। 

উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আরও বলেন, শিক্ষা খাতের যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের দাবিপূরণের সুদূরপ্রসারী প্রভাব থাকে এবং এর জন্য তাৎক্ষণিক সমাধান দেওয়া কঠিন, অথচ সব কয়টি দাবির পেছনের আন্দোলনকারীরা তাদের দাবিকেই সবচেয়ে অগ্রাধিকার হিসেবে দেখছেন এবং দাবিগুলোকে শুধু রাস্তায় আন্দোলন করে তাৎক্ষণিক সমাধানযোগ্য মনে করছেন। এতে একদিকে যেমন রাস্তা অবরোধের ফলে অপরিসীম জনদুর্ভোগ হচ্ছে; সরকারও দাবিগুলো যথাযথ বিবেচনার সুযোগ পাচ্ছে না।

উপদেষ্টা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি বিবেচনার জন্য সরকার ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে যা সাত সপ্তাহের মধ্যে দ্রুত একটি প্রতিবেদন তৈরি করবে।

সাত কলেজের ‘সমস্যার’ কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সমস্যাটির শুরু হয়েছে কয়েক বছর আগে ঢাকার সাতটি কলেজকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতা থেকে বের করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত করার একটি অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে। এর ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাত কলেজের উভয় পক্ষেরই সমস্যা তৈরি হয়েছে। যে কারণে ওই সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নানা অসুবিধা ও বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে।’

সমস্যাগুলো জটিল এবং এগুলোর সুষ্ঠু সমাধান কী হতে পারে, তা বিবেচনায় ন্যূনতম কিছু সময়ের প্রয়োজন বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এরই মধ্যে একটি কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজেদের প্রতিষ্ঠানকে এককভাবে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি নিয়ে রাস্তায় আন্দোলন করেছেন। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনাও হয়েছে। দেশের সমস্যাসঙ্কুল শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির প্রতি একজন আজীবন শিক্ষক হিসেবে অবশ্যই ব্যক্তিগতভাবে আমার সকল সহানুভূতি আছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে রাস্তায় শিক্ষার্থীদের অবরোধ, আন্দোলন ও আলটিমেটামের মাধ্যমে একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে গঠনের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দেওয়ার কোনও নজীর কোথাও নেই। 
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রাফিক পুলিশে নিয়োগ পাচ্ছে ৭০০ শিক্ষার্থী

ট্রাফিক পুলিশে নিয়োগ পাচ্ছে ৭০০ শিক্ষার্থী

কালের কণ্ঠ
দাবি মানলে বৈষম্যের শঙ্কা, শিক্ষার্থীদের রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ উপদেষ্টার

দাবি মানলে বৈষম্যের শঙ্কা, শিক্ষার্থীদের রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ উপদেষ্টার

বাংলা ট্রিবিউন
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ

বাংলা ট্রিবিউন
সিটি ইউনিভার্সিটিতে শুরু হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল লিটারারি কনফারেন্স 

সিটি ইউনিভার্সিটিতে শুরু হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল লিটারারি কনফারেন্স 

বাংলা ট্রিবিউন
ঢাকা বোর্ডের ভেতরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ‘হামলায়’ আহত কয়েকজন

ঢাকা বোর্ডের ভেতরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ‘হামলায়’ আহত কয়েকজন

প্রথমআলো
এইচএসসির ফল বাতিলের দাবিতে ঢাকা বোর্ড ঘেরাও

এইচএসসির ফল বাতিলের দাবিতে ঢাকা বোর্ড ঘেরাও

জনকণ্ঠ
ট্রেন্ডিং
  • সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে 'বস্তায় বস্তায় ঘুষ' নেওয়ার অভিযোগ: দুদকের অনুসন্ধান শুরু

  • ভালোবাসা দিবসে পরী মনির ‘বুকিং’

  • নির্বাচনের আগে পাকিস্তানে জোড়া বিস্ফোরণে নিহত ২৮

  • ভিসা পদ্ধতি পুরোপুরি তুলে নিলো যে দেশ

  • শন্তিপূর্ণভাবে মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা করেছি: প্রধানমন্ত্রী

  • ২০৩৫ সালের মধ্যে চীনের পারমাণবিক অস্ত্র বাড়বে তিন গুণ

  • তানজানিয়ায় প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৯

  • ব্যাংকে ৫ কোটি টাকার বেশি থাকলে বেশি কর

  • কাতার বিশ্বকাপে ফিরছে জিদানের সেই ভাস্কর্য

  • ইন্দোনেশিয়ার নিষেধাজ্ঞায় তেলের মূল্য আকাশছোঁয়া