শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করতে তোড়জোড় শুরু করেছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। নতুন সরকার গঠনে গোতাবায়া সম্ভাব্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে রাজি হচ্ছেন না। নানা শর্ত আরোপ করে গোতাবায়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।
দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, আগামী দুদিনের মধ্যে মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন করতে হবে। তা না হলে দেশটির অর্থনীতি সম্পূর্ণভাবে ধসে পড়বে। এরপর কোনো পদক্ষেপই শ্রীলঙ্কাকে রক্ষা করতে সক্ষম হবে না।
এ পরিস্থিতিতে লঙ্কান সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন ইউএনপি নেতা রনিল বিক্রমাসিংহে। বৃহস্পতিবার (১২ মে) সন্ধ্যায় তিনি শপথ নিতে পারেন।
শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সবচেয়ে বেশি শোনা গিয়েছিল প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা সাজিদ প্রেমাদাসার নাম। কিন্তু তিনি জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব তিনি নেবেন যদি গোতাবায়া প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে যান। প্রেমাদাসার এই অবস্থান তার নিজ দলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
বুধবার (১১ মে) প্রেমাদাসার দল সামাগি জানা বালাওয়েগয়ার (এসজেবি) হারিন ফার্নান্দো বলেন, ‘এখন শর্ত দেওয়া কিংবা আমাদের দায়িত্ব এড়ানোর সময় নয়। সরকার ছাড়া প্রতিটি মিনিট আমাদের সবার জন্য বিপর্যয়কর হবে।’
ফার্নান্দো জানান, তিনি দেশ পরিচালনার জন্য যেকোনো অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন করবেন।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে গোতাবায়া এসজেবির আইনপ্রণেতা শরৎ ফনসেকারের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাকেও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে খবর শোনা যাচ্ছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার (১২ মে) তিনি সাফ জানিয়ে দেন, গোতাবায়ার অধীন কোনো দায়িত্ব নিতে চান না তিনি এবং নতুন কোনো সরকারকেও সমর্থন করবেন না।
এরপর প্রেসিডেন্ট ধরনা দেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের কাছে। বৃহস্পতিবার (১২ মে) দ্য উইক ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার সঙ্গে রানিলের আলোচনাও হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য জানানো হয়নি।
জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক সূত্রে জানা গেছে, রনিল প্রধানমন্ত্রী পদে যেতে রাজি কি না, এ বিষয়ে জানা যায়নি। কিন্তু বিক্রমাসিংহে সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হবেন এবং তারপর যোগদান করতে আগ্রহী দলগুলোর সঙ্গে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করবেন।
মজার বিষয় হলো, রনিল বিক্রমাসিংহে ও রাজাপাকসের বৈঠকে বিরোধী জোট এসজেবিতে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে। দলটির আইনপ্রণেতা শরৎ ফনসেকা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার অধীন প্রধানমন্ত্রী হতে চান বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
ডেইলি মিরর রিপোর্ট করেছে, রাজাপাকসের সঙ্গে বিক্রমাসিংহের বৈঠকের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর এসজেবি কয়েকটি শর্ত জুড়ে দিয়েছে। প্রথমত, প্রেসিডেন্টকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, প্রেসিডেন্ট নতুন সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। তৃতীয়ত, নির্বাহী প্রেসিডেন্টের পদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হওয়ার পর চতুর্থ সাধারণ নির্বাচন করতে হবে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়