ফের করোনা বাড়ছে, সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,  আবার করোনার একটু প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এক্ষেত্রে সবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সেই সঙ্গে আমরা টিকা দিচ্ছি। টিকা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বুস্টার ডোজটাও নিতে হবে। অনেকেই বুস্টার ডোজ নিচ্ছে না। সে ব্যাপারেও আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব যাতে প্রত্যেকে বুস্টার ডোজটা নেয়। যাতে এটা প্রাদুর্ভাব আর বাড়তে না পারে।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা সেনানিবাসে পিজিআর সদরদপ্তরে যুক্ত হন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর বাংলাদেশে যারা স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী-যাদের বিচারকাজ শুরু হয়েছিল, তাদেরকেই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসানো হয়। তাছাড়া যারা জাতির পিতার হত্যাকারী তাদেরকেও বিচারের হাত থেকে মুক্তি দিয়ে ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স জারি করে তাদেরকে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়।

তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় থাকার কারণেই এই সেনাবাহিনীতে ১৯ বারের মতো ক্যু হয় এবং বহু সেনা সদস্য, সৈনিক, অফিসার মৃত্যুবরণ করেন। এমন একটা সময় ছিল যে অফিসারদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হামলা করা হয়েছে। অনেকের স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে, পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে। এ রকম ঘটনা তখন ঘটতে থাকে একের পর এক। প্রতিরাতে বাংলাদেশে কারফিউ চলত। মানুষের কোনো অধিকারই ছিল না। মানুষ স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারত না। এ রকম একটা পরিবেশ বাংলাদেশে ছিল।

সরকারপ্রধান বলেন, একুশ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। ৭৫ সালে আমি আমার ছোট বোন বিদেশে ছিলাম। ৮১ সালে আমাকে দেশে ফিরতে দেওয়া হয়নি। অনেকটা জোর করেই দেশে ফিরতে হয়েছিল। যেখানে খুনিদের রাজত্ব, যেখানে অপরাধীদের রাজত্ব। আমি জানতাম যেকোনো সময় তারা আমাকে মারতে পারে। আমি সেটা পরোয়া করিনি। আমি মানুষের জন্য ফিরে আসি। ফিরে আসার পর থেকে আমার লক্ষ্য ছিল একদিকে যেমন বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ যেখানে আমার বাবা নিজের হাতে সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, নৌ বাহিনী গড়ে তুলে গেছেন সেগুলো যাতে আরও উন্নত হয়।

প্রধানমন্ত্রীবলেন, একদিকে করোনার একটা অভিঘাত, তার উপরে এসেছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ। যার ফলে আজ পুরো বিশ্বেই যেমন তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, অনেক দেশেই এখন বিদ্যুতের জন্য হাহাকার। বিদ্যুত আমরা সবার ঘরে পৌঁছে দিয়েছিলাম এবং সবাই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত পাচ্ছিল। কিন্তু এখন আন্তর্জাতিক বাজারে বিদ্যুতের উৎপাদনের যে উপকরণগুলো সেগুলোর দাম অত্যধিক বেড়েছে। যেমন ডিজেলের দাম বেড়েছে, তেলের দাম বেড়েছে, এলএনজির দাম বেড়েছে। সব কিছুর দাম বেড়েছে। কয়লা এখন পাওয়া যায় না।
এই বিভাগের আরও খবর
হিমোফিলিয়া শনাক্তের বাইরে ৮২% রোগী

হিমোফিলিয়া শনাক্তের বাইরে ৮২% রোগী

কালের কণ্ঠ
খাবারে কৃত্রিম রঙের ব্যবহার স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়

খাবারে কৃত্রিম রঙের ব্যবহার স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়

কালের কণ্ঠ
ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, মেধাক্রমে প্রথম তামিম

ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, মেধাক্রমে প্রথম তামিম

সমকাল
স্যালাইন খেয়ে শিশুর মৃত্যু, গ্রেপ্তার ৪

স্যালাইন খেয়ে শিশুর মৃত্যু, গ্রেপ্তার ৪

জনকণ্ঠ
অভিযান চালিয়ে হাসপাতাল বন্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘না’

অভিযান চালিয়ে হাসপাতাল বন্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘না’

বাংলা ট্রিবিউন
ব্লাড ক্যানসার কেন হয়, নির্ণয়ের উপায় ও চিকিৎসা কী?

ব্লাড ক্যানসার কেন হয়, নির্ণয়ের উপায় ও চিকিৎসা কী?

প্রথমআলো
ট্রেন্ডিং
  • ভালোবাসা দিবসে পরী মনির ‘বুকিং’

  • নির্বাচনের আগে পাকিস্তানে জোড়া বিস্ফোরণে নিহত ২৮

  • ভিসা পদ্ধতি পুরোপুরি তুলে নিলো যে দেশ

  • শন্তিপূর্ণভাবে মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা করেছি: প্রধানমন্ত্রী

  • ২০৩৫ সালের মধ্যে চীনের পারমাণবিক অস্ত্র বাড়বে তিন গুণ

  • তানজানিয়ায় প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৯

  • ব্যাংকে ৫ কোটি টাকার বেশি থাকলে বেশি কর

  • কাতার বিশ্বকাপে ফিরছে জিদানের সেই ভাস্কর্য

  • ইন্দোনেশিয়ার নিষেধাজ্ঞায় তেলের মূল্য আকাশছোঁয়া

  • অবিশ্বাস্য কীর্তিতে হাজার রানের ক্লাবে এনামুল বিজয়