বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে গরিব ও দুস্থ ৪৬ জন রোগীর বিনামূল্যে চোখের ছানি এবং নেত্রনালির অপারেশন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সাবরিনা সোবহান রোডে অবস্থিত বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে দিনব্যাপী এ ফ্রি অপারেশন করা হয়।
যৌথভাবে এ অপারেশনের আয়োজন করেছে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন এবং এ কে এম আবু তাহের ফাউন্ডেশন।
বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অবৈতনিক পরিচালক এবং ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রফেসর ডা. মো. সালেহ আহমদের তত্ত্বাবধানে এ সার্জারিতে অংশ নেন ডা. রুবিনা আক্তার ও ডা. মজুমদার গোলাম রাব্বি।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ২৬ জন পুরুষ ও ২০ জন নারীসহ মোট ৪৬ জন রোগীর চোখ অপারেশন করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৪৫ জনের চোখের ছানি এবং এক জনের চোখের নেত্রনালির অপারেশন করা হয়েছে।
বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অবৈতনিক পরিচালক এবং ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রফেসর ডা. মো. সালেহ আহমদে বলেন, গত ১৯ মে আমরা কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ঝলমপুরে একটি আই ক্যাম্প করেছিলাম। সেদিন আমরা তিন হাজার রোগীর চোখ পরীক্ষা করেছিলাম। সেখান থেকে ৩৫০ জন রোগীকে অপারেশনের জন্য ঠিক করেছি। তাদেরই ভাগ করে বসুন্ধরা আই হসপিটালে এনে বিনামূল্যে চোখের ছানি ও অন্যান্য অপারেশন করা হচ্ছে। এবারের ব্যাচে আমরা ৪৬ জন রোগীকে নিয়ে এসেছি।
তিনি বলেন, এ ব্যাচের রোগীদের গতকালই নিয়ে এসে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। কার কেমন লেন্স লাগবে সেটি নির্ধারণ করা হয়েছে। আজকে সকাল থেকে তাদের অপারেশন শুরু করা হয়েছে। আশা করি বিকেলের মধ্যেই সবার অপারেশন শেষ হয়ে যাবে। অপারেশন শেষে আজকে তারা এখানে থাকবে। আগামীকাল তাদের ড্রেসিং করে আমরা আবার বাড়ি পাঠিয়ে দেবো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের খরচেই তাদের নিয়ে আসি ও অপারেশন শেষে বাড়ি দিয়ে আসি। অপারেশনসহ সব খরচ আমরাই বহন করি। বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালের একটি ফ্রি ফান্ড ও যাকাত ফান্ড রয়েছে। যারা যাকাতের যোগ্য তাদের আমরা সেখান থেকে সাহায্য করি। আর যারা যাকাতের যোগ্য না যেমন অমুসলিম, তাদের আমরা আমাদের ফ্রি ফান্ড থেকে সাহায্য করি। যারা এ আই ক্যাম্প করতে চায়, তারা আহ্বান জানালে আমরা তাতে সাড়া দেবো। আমাদের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ম্যানেজার (এইচ আর অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) মোহাম্মদ আহসান হাবীব বলেন, গরিব, দুস্থ ও অন্ধ রোগীদের চক্ষু চিকিৎসার সাহায্যার্থে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুস্থদের সেবায় আগে থেকেই এ ধরনের প্রক্রিয়া চলে আসছে। সারা দেশে বিনামূল্যে এ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ পর্যন্ত ক্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে দুই হাজার ৫৪৬ জনের বেশি রোগীর বিনামূল্যে অপারেশন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত ১৯ মে কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানার ঝলম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পিং অনুষ্ঠিত হয়। ওই ক্যাম্পে প্রায় তিন হাজার রোগী চিকিৎসা সেবা নেন। এর মধ্যে ৩৫০ জনকে চোখের ছানি, নেত্রনালি ও মাংস বাড়ার কারণে চোখ অপারেশনের জন্য নির্বাচিত করা হয়। আজ সেখানকার ২য় ব্যাচের ৪৬ জন রোগীর এ অপারেশন করা হচ্ছে।
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ঝলমপুর থেকে বিনামূল্যে চক্ষু অপারেশন করতে আসা মতি মিয়া বলেন, গত পাঁচ-ছয় মাস ধরে চোখের সমস্যায় ভুগছি। গরিব মানুষ বলে কোথাও চোখের চিকিৎসা করাতে পারিনি। পরে আমাদের এলাকার চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জেনে আই ক্যাম্পে চোখ দেখাতে গেছিলাম। সেখান থেকে আমাকে চোখ অপারেশন করতে বলা হয়। তারপর তাদের মাধ্যমেই বিনামূল্যে এখন চোখের অপারেশন করতে বসুন্ধরা আই হসপিটালে এসেছি। এটা আমাদের মতো গরিব মানুষের জন্য অনেক উপকার হয়েছে। আল্লাহ তাদের ভালো রাখুক।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়