ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগামীকালই চারদিনের এক রাষ্ট্রীয় সফরের উদ্দেশ্যে নিজ দেশ ত্যাগ করার কথা রয়েছে। সর্বোচ্চ প্রটোকলের এ রাষ্ট্রীয় সফরের যাবতীয় বিষয়বস্তু সম্পূর্ণরূপে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন ইস্যুতে সীমাবদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেক্ষেত্রে মূলত প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি ও বাণিজ্য খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারের বিষয়টিতে দুই পক্ষের মনোযোগ নিবদ্ধ থাকবে বলে ইন্দো-মার্কিন সরকারের কর্তাব্যক্তিসহ দুই দেশের স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
তবে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা গতকাল এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘তেমন সময় পেলে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে গুরুত্ব রাখে এমন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুগুলো নিয়েও আলোচনা হবে’। দ্য হিন্দুতে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, তবে এক্ষেত্রে দুই পক্ষের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্ববহ ও ‘তুলনামূলক বড় ইস্যুগুলোকেই’ সামনে নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন বিনয় মোহন কোয়াত্রা।
নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রিত্বের দায়িত্ব নেন ২০১৪ সালে। এর পর থেকে এ নিয়ে পাঁচবার যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন নরেন্দ্র মোদি। আগামীকাল শুরু হতে যাওয়া সফরটি হবে ষষ্ঠ। তবে তার এবারের সফরের বিষয়টি পুরোপুরি ভিন্ন। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরটিকেই প্রথমবারের মতো সর্বোচ্চ প্রটোকলের রাষ্ট্রীয় সফরের মর্যাদা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সফরের প্রথম দিনে আগামীকাল নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এরপর সেখান থেকে তিনি রওনা দেবেন ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে। পরদিন বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজে তার জন্য একটি সংবর্ধনা আয়োজনের কথা রয়েছে। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শেষে এক নৈশভোজে যোগ দেবেন তিনি।
একই দিনে মার্কিন হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি ও সিনেটের স্পিকার চার্লস শুমারসহ মার্কিন জনপ্রতিনিধিদের আমন্ত্রণে কংগ্রেসের এক যৌথ অধিবেশনে যোগ দেবেন নরেন্দ্র মোদি। পরদিন শুক্রবার মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন আয়োজিত এক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে তার। আনুষ্ঠানিক এ কর্মসূচির বাইরেও বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহী, পেশাজীবী ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্যের সঙ্গেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি। এছাড়া প্রবাসী ভারতীয়দের এক অনুষ্ঠানেও যোগ দেয়ার কথা রয়েছে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর। সফর শেষে শনিবার মিসরের উদ্দেশ্য রওনা দেবেন নরেন্দ্র মোদি।
নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর গত শনিবার বলেন, ‘একজন প্রধানমন্ত্রী যখন একটি দেশে সফরে যান, তখন তার উদ্দেশ্যই থাকে ওই দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ককে এগিয়ে নেয়া। আমি বুঝতে পারছি, এখন পৃথিবীটা আগের চেয়ে অনেক বেশি বিশ্বায়িত। সুতরাং যদি কিছু ঘটে থাকে, তাহলে এর প্রভাব অন্যদের ওপর পড়তেও পারে; নাও পারে। আমরা বিষয়টিকে আমাদের স্বার্থ ও আমাদের সম্পর্কের দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই দেখব।’
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়