মোবাইল ফোন অপারেটর রবির অ্যাপসভিত্তিক প্ল্যাটফরম বিডিঅ্যাপস পরিচালনার ক্ষেত্রে কখনোই টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসি থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়নি। অনুমোদন না নিয়ে এই অ্যাপস্টোর চালুর প্রায় ৮ বছর পরে এসে বিটিআরসি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। জানা গেছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যক্রম না করার জন্য রবিকে সতর্ক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
অপরদিকে মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংকও এ ধরনের অ্যাপস্টোর চালুর জন্য বিটিআরসিতে আবেদন করে। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাপলিংক নামের অ্যাপস্টোরটির অনুমোদনও দিয়েছে বিটিআরসি। বিডিঅ্যাপসকে একইভাবে অনুমোদনের আওতায় আনা যেতে পারে বলে মনে করে কমিশন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অ্যাপলিংকের জন্য অ্যাপের তালিকা, গ্রাহকের অভিযোগের বিবরণসহ যেসব প্রতিবেদন কমিশনে প্রদানের নির্দেশনা রয়েছে, রবির বিডিঅ্যাপসের জন্যও একই ধরনের তালিকার বিষয়ে কমিশনের দিক নির্দেশনা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলালিংকের হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশনস অ্যান্ড সাস্টিনিবিলিটি আংকিত সুরেকা বলেন, ‘আমরা বিটিআরসি থেকে অনুমোদন (অ্যাপলিংকের) পেয়েছি। শিগগিরই এটা চালু করা হবে।’
বিটিআরসি বলছে, ২০১৪ সালে যখন বিডিঅ্যাপস চালু করা হয়, তখন এ বিষয়ে কোনও অনুমোদন নেওয়া হয়নি। বরং ইতোপূর্বে অনুমোদিত দুটি ট্যারিফ চার্টের রেফারেন্সের ভিত্তিতে একটি ইন্টিমেশন দেওয়া হয়েছিল। ২০১৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি বিডিঅ্যাপস একটি অ্যাপস্টোর হিসেবে গুগল প্লে-স্টোরে অন্তর্ভুক্ত হয়, যা প্রতিষ্ঠানটি (রবি) কমিশনের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি ই-মেইলের মাধ্যমে বিটিআরসিকে জানিয়েছে। রবি এই তারিখে বিডিঅ্যাপস ওয়েব পোর্টালের পাশাপাশি অ্যাপস্টোরের মাধ্যমে গ্রাহককে সেবা দিতে শুরু করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, ‘বিডিঅ্যাপস পরিচালনার বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিটিআরসির পক্ষ থেকে কোনও ধরনের চিঠি অথবা আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আমরা এখন পর্যন্ত পাইনি। আমাদের জানামতে, বাংলাদেশে দেশি-বিদেশি অ্যাপসভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম (গুগল প্লেস্টোর, অ্যাপলের অ্যাপস্টোর) পরিচালনায় পূর্বানুমোদন গ্রহণের কোনও বাধ্যবাধকতা বা শর্ত টেলিযোগাযোগ আইনে নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশের জাতীয় অ্যাপস্টোর হিসেবে বিডিঅ্যাপসও একইভাবে সেবা দিয়ে আসছে। বিডিঅ্যাপসের যেসব সেবা রবির প্ল্যাটফর্ম দিয়ে ব্যবহার করা হয়, টিভ্যাস সেবা হিসেবে সেগুলোর যথাযথ পূর্বানুমোদন বিটিআরসি থেকে নেওয়া হয়ে থাকে। এ মুহূর্তে ২৫ হাজার তরুণ অ্যাপ ডেভেলপার বিডিঅ্যাপসের সঙ্গে কাজ করছেন এবং তাদের তৈরি ৪৫ হাজার অ্যাপ ৬০ লাখের বেশি গ্রাহক ব্যবহার করছেন।’
প্রসঙ্গত, বিডিঅ্যাপস প্ল্যাটফরমে আইসিটি বিভাগের অ্যাপগুলো ডেভেলপ ও প্রকাশ করার জন্য গত বছরের ৪ মার্চ রবির সঙ্গে আইসিটি বিভাগের একটি চুক্তি হয়। আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দেশের সব মোবাইল ফোন গ্রাহক যেন বিডিঅ্যাপস ব্যবহার করতে পারে, সে লক্ষ্যে মোবাইল ফোন অপারেটরদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে বিটিআরসি বরাবর একটি ডিও লেটারও পাঠিয়েছেন।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়