যথাযথ নিয়ম না মানলে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ মেটা বন্ধ (ব্যান) করতে পারে অভিযুক্ত বা অনিয়ন্ত্রিত যে কোনো নম্বর। জানা গেছে, প্রতি মাসে অভিযুক্ত লাখ লাখ অ্যাকাউন্টের নিবন্ধন বাতিল করছে হোয়াটসঅ্যাপ, যা কিছুটা শঙ্কা বাড়িয়েছে। লিখেছেন সাব্বিন হাসান
বাতিল হওয়া বা অভিযুক্ত সব হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টই যে পুরোপুরি দোষী, তা কিন্তু নয়। অনেকে এমন আছেন, যারা প্রকৃত অর্থেই নির্দোষ। নিয়ম না ভেঙেও নিষেধাজ্ঞার জটিলতায় পড়েছেন।
নিরপরাধ হলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। বিপদে ব্যান সরানোর নির্দিষ্ট কিছু উপায় দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বুঝেশুনে তা মেনে চললেই মিলবে মুক্তি।
অসীম ডিজিটাল দুনিয়ায় যে অ্যাপটি ছাড়া আজ ব্যক্তি ও দাপ্তরিক কাজ প্রায় অচল, তা হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ। জরুরি অ্যাপটি সঠিকভাবে ব্যবহারে থাকছে বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট বিধিনিষেধ, যা হয়তো অনেকেরই অজানা।
হোয়াটসঅ্যাপে নিজস্ব প্রাইভেসি পলিসি প্রচলিত, যা নিজের অজান্তেই অনেকে ভেঙে ফেলেন। ফলে ওই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয় হোয়াটসঅ্যাপ। সারাবিশ্বে প্রতি মাসে লাখ লাখ অ্যাকাউন্ট ব্যান করছে হোয়াটসঅ্যাপ। সে খবর অনেকেরই জানা নেই।
হুট করে ওই তালিকায় যদি নিজের অ্যাকাউন্ট পড়ে যায়, তাহলেই ঘটবে চরম বিপত্তি। ভবিষ্যতে যেন অ্যাপ ব্যবহারে এমন সমস্যার সম্মুখীন না হন, সে জন্য নিয়মনীতি জেনে রাখা শ্রেয়। কারণ এটি এখন বৈশ্বিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে বিশ্বস্ত, জনপ্রিয় ও সবচেয়ে বেশি ব্যবহারযোগ্য অ্যাপ। দাপ্তরিক হোক বা পরিবার– সবার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাটিং থেকে ভয়েস কল বা ভিডিওকল সবই করা যায় এখানে।
কীভাবে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্যান হলে তা থেকে রেহাই পাবেন, তা জানার আগে কেন ব্যান হয় ও কী কী ধরনের ব্যান হতে পারে, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা নেওয়া জরুরি।
ব্যান কী কী ধরনের
প্রথমেই বলা যায় অস্থায়ী ব্যান। যদি হোয়াটসঅ্যাপের নকল সংস্করণ ব্যবহার করে ঠকানোর উদ্দেশ্যে তা ব্যবহার করা হয়, তাহলে অ্যাকাউন্ট ‘অস্থায়ী ব্যান’ হতে পারে। এমন অভিযোগে নির্দোষ প্রমাণ কিছুটা সহজ।
দ্বিতীয় হলো স্থায়ী ব্যান, যা একবার হয়ে গেলে ওই নম্বর দিয়ে আর হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট চালানো কঠিন হবে। সাধারণত ভুয়া কার্যকলাপ, সাইবার প্রতারণা বা জালিয়াতির অভিযোগে মেটা স্থায়ী ব্যান কার্যকর করে।
ব্যান উঠবে যেভাবে
যদি অস্থায়ী ব্যান দৃশ্যমান হয়, তাহলে শুধু হোয়াটসঅ্যাপে নতুন করে লগইন করলেই সমস্যার নিরসন হবে। আর যদি স্থায়ী ব্যান হয়, তাহলে হোয়াটসঅ্যাপে গিয়ে ‘কনট্যাক্ট সাপোর্ট’ বা ‘রিকোয়েস্ট এ রিভিউ’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। অভিযুক্ত (ব্যান) হলে সেখানে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের সুযোগ থাকবে। স্ক্রিনশটও আপলোড করা যাবে।
তারপর বার্তার (মেসেজ) মাধ্যমে ভুক্তভোগীর কাছে কোড আসবে। সুনির্দিষ্ট ই-মেইলে সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই করে পাঠিয়ে দিতে হবে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ মেটার কাছে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই রিভিউ যথাযথভাবে যাচাই করে পরের ধাপ জানানো হবে। প্রকৃত অর্থেই যদি নির্দোষ প্রমাণিত হন, তাহলে অ্যাকাউন্ট থেকে প্রদত্ত ব্যান সরিয়ে নেবে মেটা কর্তৃপক্ষ। দ্রুতই সচল হবে অভিযুক্ত হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়